জাতীয়

বাবার স্বপ্ন পূরণ করবেন আহসান খান চৌধুরী

দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সাবেক প্রধান নির্বাহী মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁর ছোট ছেলে প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরী। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে বিশিষ্ট এই ব্যবসায়ীর স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। অনুষ্ঠানে বাবার বিভিন্ন স্মৃতিও তুলে ধরেন তিনি।  বাবার স্মৃতিচারণ করে আহসান খান চৌধুরী বলেন, বাবা বলতেন যখন কেউ জিজ্ঞাসা করবে বাড়ি কোথায়? তখন বলবে রাজশাহীর নাটোরে। বাবা যেটা শেখানোর চেষ্টা করেছেন তা হলো, বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসা।তিনি বলেন, যদিও নাটোরে আমার থাকার সুযোগ হয়নি তারপরও নাটোরের মানুষের সঙ্গে কথা বললে মনে হয় যেন নিজের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছি। নাটোরের এসব মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করবো।বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি।  অনেক কাজ বাকি আছে।  ৪০ বছর বয়সে বাবা ব্যবসা শুরু করেছিলেন। বাবার কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করেছি ২৫ বছর ধরে। এই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যাবো।  বাবার অনেকগুলো অসমাপ্ত কাজ রয়েছে। সেসব বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো। তিনি জানান, বাবার প্রথম স্বপ্ন ছিল ব্যবসা। সেটা সফল করার চেষ্টা করবো। আমরা ইতোমধ্যে ভারতে কোম্পানি স্থাপন করেছি। শুধু ভারতীয়রা বাংলাদেশে এসে কোম্পানি তৈরি করে, এখন আমরা বলতে পারবো বাংলাদেশিরাও ভারতে কোম্পানি করতে পেরেছে।তিনি আরো জানান, নেপালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কারখানা তৈরির কাজ করছি। আফ্রিকাতেও আমাদের ব্যবসা চলছে। এছাড়া কারখানা তৈরি করার জন্য উগান্ডার প্রেসিডেন্ট প্রাণকে পাঁচ একর জায়গা দিয়েছে। সেখানেও আমরা কাজ করবো। আহসান খান চৌধুরী বলেন, সবে মাত্র যাত্রা শুরু করেছি। অনেক পথ বাকি। দেশে অসংখ্য জেনারেল আমজাদ সাহেবের প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের অনেকগুলো সোশ্যাল কমিটমেন্ট আছে।প্রথমত, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি। ৭০ হাজারেরও বেশি লোক ইতোমধ্যে এ কোম্পানিতে কাজ করছেন। আগামীতে প্রতিবছর ২১ হাজার লোক নিয়োগ দেয়া হবে। দ্বিতীয়ত, বাবার স্বপ্ন ছিল নর্থ বেঙ্গলে হাসপাতাল নির্মাণ করা। জমি নিয়েছি। আগামী ১৮ মাসের মধ্যেই নাটোরে হাসপাতাল নির্মাণ করবো। ব্যবসার জন্য আপাতত অন্য চিন্তা বাদ। নাটোরের হাসপাতালটা করতে হবে। দ্রুত করতে না পারলে ওয়াদার বরখেলাপ হবে। হাসপাতালটি রাজশাহী নাটোরের মধ্যস্থলে নির্মাণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, বাবার আদেশ অনুযায়ী সামাজিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে। বিশ্বমানের হাসপাতাল না হলেও অনেক ভালো হাসপাতাল হবে। চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুর এপারে যেনো না আসতে হয়। শিক্ষা নিয়েও মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর স্বপ্ন ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার প্রসারে বিভিন্ন জায়গায় স্কুল করা হচ্ছে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের এখানে সুযোগ দেবো। প্রাণ-আরএফএলের শিক্ষায় অসংখ্য মানুষকে শিক্ষিত করবো। সবশেষে তিনি মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর জন্য দোয়া কামনা করে দেশ ও বিশ্বের সমৃদ্ধি কামনা করেন। স্মরণসভা ও মাহফিল আয়োজনের জন্য বৃহত্তর রাজশাহীবাসীকে ধন্যবাদ জানান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরী।এতে সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর রাজশাহী সমিতির সভাপতি বেনাউল ইসলাম। এছাড়া অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বিচারপতি এমদাদুল হক আজাদ, অতিরিক্ত সচিব বজলুর রহমান, প্রাণ’র পরিচালক ইলিয়াস মৃধা, নাটোর সদরের সংসদ সদস্য আলহাজ শফিকুল ইসলাম শিমুল, যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, রাজশাহী ম্যাংগো প্রাডাক্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজু আহমেদ, কৃষিবিদ অধ্যাপক রেদোয়ান ইসলাম মুকুল প্রমুখ। # কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করেছেন আমজাদ খান চৌধুরী

Advertisement

# মরনোত্তর চক্ষু দান করেছেন আমজাদ খান চৌধুরীএসআর/এমএম/আরএস/এমএএস/এএইচ/এমএস/এএ