সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব যতটা (১৫ কোটি কিলোমিটার), তার ১২০ গুণ দূরে একটি মহাজাগতিক বস্তর সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এর আগে সৌরমণ্ডলে সূর্য থেকে এত দূরে থাকা কোনো মহাজাগতিক বস্তুর দেখা মেলেনি। বস্তুটি ১ হাজার বছরে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করছে।
Advertisement
গত ১৭ ডিসেম্বর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার এই আবিষ্কারের কথা জানায়। সদ্য আবিষ্কৃত মহাজাগতিক বস্তুটির নাম দেয়া হয়েছে ‘২০১৮-ভিজি-১৮’। যার ডাক নাম ‘ফারআউট’। এই সৌরমণ্ডলের শেষপ্রান্তে একেবারে ‘প্রাচীর’ ঘেঁষে রয়েছে বলেই তার নাম দেয়া হয়েছে ‘ফারআউট’। সূর্য থেকে যতটা দূরে রয়েছে প্লুটো (৬০০ কোটি কিলোমিটার), তারও তিনগুণ বেশি দূরত্বে রয়েছে ফারআউট।
টেলিস্কোপের চোখে সৌরমণ্ডলের যেখানে ধরা পড়েছে ‘ফারআউট’ (তিরচিহ্নিত)
প্লুটোকে ধরে সৌরমণ্ডলে রয়েছে ৯টি গ্রহ। কিন্তু পরে গ্রহের ‘তকমা’ খুইয়ে ফেলে প্লুটো। হয়ে পড়ে ‘বামন গ্রহ’। সূর্যের থেকে আমরা যতটা দূরে রয়েছি, প্লুটো রয়েছে তার ৩৪ গুণ দূরত্বে। প্লুটোর পর ‘এরিস’-এর আগে রয়েছে আরও একটি বিশাল মহাজাগতিক বস্তু। তার নাম- ‘বিডেন’। তার দূরত্ব ৮৪ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট বা এইউ (সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্বকে এক ‘এইউ’ বলা হয়)।
Advertisement
জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক বা এইউ হচ্ছে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব যার মান প্রায় ১৪৯,৫৯৮,০০০ কিমি (৯৩,০০০,০০০ মাইল)। প্লুটো সূর্য থেকে প্রায় ৩৮ এইউ দূরত্বে অবস্থিত।
আবিষ্কারকরা মনে করছেন, সদ্য আবিষ্কৃত মহাজাগতিক বস্তু ‘ফারআউট’ হতে পারে এই সৌরমণ্ডলের ‘দূরতম গ্রহ’। তবে এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, ফারআউট গ্রহ কি না, তা জানতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন।
কার্নেগি ইনস্টিটিউশনের তরফ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফারআউট খুব ধীরে ধীরে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। তা এক হাজার বছর বা তার কিছু বেশি হতে পারে।
সূত্র: আনন্দবাজার
Advertisement
এসআর/এমএস