ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগ নেতার ছুরিকাঘাতে এক যুবক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
Advertisement
আহত যুবকের নাম তারেক (২৬)। তিনি রাজশাহীর মতিহার থানার ধরমপুর এলাকার মো. আসলামের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তিনি একটি বাসনের দোকানে কাজ করেন।
অপরদিকে অভিযুক্ত ইমতিয়াজ আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
ভুক্তভোগী তারেক জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাবাস বাংলাদেশ মাঠের উত্তর পাশে প্রাকৃতিক কাজ সারতে আসেন তারেক। এ সময় ইমতিয়াজসহ দুজন তার পথরোধ করে সঙ্গে থাকা টাকা ও ফোন দিয়ে দিতে বলেন। তারেক অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ইমতিয়াজ পেছন থেকে তারেকের পিঠের নিচের অংশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টহলরত পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
Advertisement
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন ইমতিয়াজ। তিনি বলেন, ‘মাঠের কোণে তারেক দুজনের কাছ থেকে ছিনতাই করছিল। বিষয়টি টের পেয়ে আমি একাই ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় তারেক আমার গলায় ছুরি ধরে। একপর্যায়ে তারেক নিজের ছুরিকাঘাতেই আহত হয়।’
ইমতিয়াজ জানান, তারেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফাঁড়ির পুলিশের কাছে ছিনতাইয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তবে ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, তারেককে কেউ ছুরি মেরেছে। আর সে ছিনতাই করতে এসেছে এমন কোনো স্বীকারোক্তিও সে দেয়নি। তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। সুস্থ হওয়ার পর তার কাছ থেকে আসল ঘটনা জানা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ছিনতাইকালে ইমতিয়াজ তারেককে ধরেছিল। এ সময় হয়তো তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি বা মারধরের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি জানি না।
Advertisement
সালমান শাকিল/এফএ/এমএস