ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সরকারি ষড়যন্ত্রের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে সরকার বিরোধীদলীয় জোটের প্রার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করছে।
Advertisement
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র বাছাই, নির্বাচন কমিশনে আপিল ও প্রতীক বরাদ্দের স্তর অতিক্রম করে প্রার্থীরা যখন ভোটের লড়াইয়ে অবতীর্ণ, ঠিক সে সময় সরকারি দলের নেতাকর্মী এবং তাদের সঙ্গে সরকারের সমর্থক পুলিশ সদস্যরা বিরোধী দলের প্রার্থী ও ভোটারদের হয়রানি, মামলা দায়ের, বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, গ্রেফতার, পোস্টার ছেঁড়াসহ নানা ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে।
বুধবার রাতে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ইতোমধ্যে বিএনপির আটজন প্রার্থীকে নির্বাচনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার জন্য সরকার ও সরকারদলীয় ব্যক্তিদের দায়ের করা মামলায় আদালতে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এবার ধানের শীষ প্রতীকের ২৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নের বিষয়ে সরকারদলীয় একজন আইনজীবী নির্বাচন কমিশনে তাদের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন ও তার ভিত্তিতে রিট দায়ের করে নির্বাচন কমিশনের প্রতি তিন কর্মদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশনা জারি করে মূলত নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।
Advertisement
তিনি বলেন, রিট আবেদনের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী দলের প্রার্থীদের আদালতের দোহাই দিয়ে অযোগ্য করে বিনা নির্বাচনে ক্ষমতা দখলের ব্যবস্থা করা। অথচ দেশের সংবিধান এবং সর্বোচ্চ আদালতে নির্বাচনের বিষয়ে তফসিল ঘোষণার পর উদ্ভুত যেকোনো আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ছাড়া আর কোনো কর্তৃপক্ষে বিবেচনার সুযোগ নেই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, নির্বাচন কমিশনে আপিল ও প্রার্থীর অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্নের পর প্রার্থীদের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে আবেদন তৈরি ও তা নিষ্পত্তির জন্য আদালতকে ব্যবহার নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা এসব বেআইনি অপচেষ্টা বন্ধ করে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাচ্ছি।
কেএইচ/বিএ
Advertisement