সংসার চালানোর খরচ জোগাতে বিড়ি বানান মারিয়া বিবি। আর স্বামী মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে রোজ রাতে মারেন তাকে। এদিকে মাতাল স্বামীর হাতে প্রতিদিন লাঠির মার খেতে হয় আসলিমা বেগমের। পাশে ছোট ছেলেমেয়ে থাকলেও তা পাত্তা দেন না স্বামী। তাই মদের কারণে সংসারও প্রায় ভেঙে যাওয়ার মুখে। সোমবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এমন অনেক নারী মদ বিক্রি বন্ধের দাবিতে ঝাড়ু হাতে কলকাতার রাস্তায় নেমেছেন।
Advertisement
ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়া নামে একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে রাজ্যে মদ বিক্রি নিষিদ্ধের দাবিতে সোমবার দুপুরে কলকাতার রামলীলা ময়দান থেকে মিছিল শুরু করেন কয়েক হাজার মানুষ। এর মধ্যে ঝাড়ু হাতে ছিলেন কয়েক শত নারী। তবে মিছিলটি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশি বাধার মুখে সেখানেই প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন স্লোগান দেয়ার মাধ্যমে বিক্ষোভ করেন ওই নারীরা।
দলটির সাধারণ সম্পাদক খারওয়ার হোসেন দাবি করেন, ‘অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে মদের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গেও মদ নিষিদ্ধ করতে হবে।’ বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারী ফাতেমা বিবি নামের এক শিক্ষিকা বলেন, ‘আমরা চাই সরকার নতুন করে যেন মদের লাইসেন্স না দেয়। আমাদের গ্রামে বিষ মদ খেয়েও অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সরকারকে মদ উৎপাদন ঘাঁটি বন্ধ করতে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।’
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের মতে, দিল্লি গণধর্ষণ, পার্ক স্ট্রিট কিংবা কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডসহ এমন অনেক ঘটনার অভিযুক্তরা ছিলেন মাতাল। বিভিন্ন এলাকায় দোকানে দিনে-দুপুরে অবৈধ মদ বিক্রি হচ্ছে। এমনকি অর্ডার দিলে বাড়িতে এসেও মদ দিয়ে যায়। বিষাক্ত মদপানে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে কিন্তু সরকারের টনক নড়ছে না।
Advertisement
এসএ/পিআর