জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসলে দেশে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ ১৮ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে এ কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে দেশে বিদ্যমান ৮ বিভাগকে প্রদেশে উন্নীত করা হবে।
Advertisement
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ (শুক্রবার) সকাল ১০টায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের বনানী অফিসে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। জাপা চেয়ারম্যানের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার দলের পক্ষে এই ইশতেহার ঘোষণা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য দেলোয়ার হোসেন খান, এস.এম. ফয়সল চিশতী, ভাইস চেয়ারম্যান মো আরিফুর রহমান খান ও আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক ও শেখ আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ শফি, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম, হেলাল উদ্দিন, একেএম আশরাফুজ্জামান খান প্রমুখ।
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে এক কেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে দেশের বর্তমান আট বিভাগকে ৮টি প্রদেশে উন্নীত করা হবে। প্রদেশগুলোর নাম হবে উত্তরবঙ্গ প্রদেশ, বরেণ্য প্রদেশ, জাহাঙ্গীরনগর প্রদেশ, জালালাবাদ প্রদেশ, জাহানাবাদ প্রদেশ, চন্দ্রদীপ প্রদেশ, ময়নামতি প্রদেশ এবং চট্টলা প্রদেশ।
Advertisement
১৮ দফা কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার, পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষা করা, কৃষকের কল্যাণ সাধন, সন্ত্রাস দমনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এর মূল্য বৃদ্ধি স্থিতিশীল রাখা। পাশাপাশি সারাদেশে পর্যায়ক্রমে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং প্রত্যেক উপজেলায় কৃষিভিত্তিক শিল্প নগরী গড়ে তোলা।
এছাড়া ফসলি জমি নষ্ট না করা। খাদ্য নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। শিক্ষা পদ্ধতির সংশোধন আনা। স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণ। শান্তি ও সহ অবস্থানের রাজনীতির প্রবর্তন। সড়ক নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। গুচ্ছগ্রাম, পথকলি ট্রাস্ট পুনঃপ্রতিষ্ঠা। পল্লী রেশনিং চালু করা। শিল্প অর্থনীতির সাধনে সব ধরনের নীতি নির্ধারণী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করা।
এমইউএইচ/এমএমজেড/পিআর
Advertisement