একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের প্রচারের দ্বিতীয় দিনেই প্রাণ ঝরল ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে। প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কর্মী ইউসুফ আল মামুন (৪০)। তিনি সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক।
Advertisement
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গি এলাকায় একটি চায়ের দোকানে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা আফসার উদ্দিন জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গি এলাকার একটি চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির সমর্থক মজিদ ও আজিজের কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় মজিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করে। ইউসুফ এর প্রতিবাদ করলে তাকে কিল-ঘুষি মারে তারা। দোকানের ঝাপের লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় ইউসুফ।
এই ঘটনা স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লালন ফকির গুরুতর আহত হলে তাকে সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।
Advertisement
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লোকমান হোসেন মৃধা অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সমর্থক।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় নিহত হয়েছেন নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আল মামুন। হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেতা লালনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শাস্তিপূর্ণ নির্বাচনকে অশান্ত করার জন্যই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জমিরউদ্দিন হাজি এ বিষয়ে বলেন, ইউসুফ ও আজিজ দুজনই সমবয়সী। তারা একইসঙ্গে চলাফেরা করে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নির্বাচন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এটি কোনো পরিকল্পিত ঘটনা নয়।
এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সমর্থকদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
Advertisement
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি এএফএম নাছিম বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বি কে সিকদার সজল/বিএ