যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান খন্দকার আবদুল্লাহ পুলিশের উচ্চপর্যায়ের নির্বাহী পদে যোগ দিয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পুলিশ বাহিনী হিসেবে পরিচিত এনওয়াইপিডির ক্যাপ্টেন পদে আসীন হলেন ৩৩ বছর বয়সী খন্দকার আবদুল্লাহ। জানা গেছে, ২০০৫ সালের সামারে নিউইয়র্কের পুলিশ বিভাগে যোগ দেন খন্দকার আবদুল্লাহ। তিনি কলেজে পড়ার সময় জব ফেয়ারে দেখেন, এনওয়াইপিডিতে লোক নেয়া হচ্ছে। প্রথমে তিনি খণ্ডকালীন ইন্টার্ন হিসেবে যোগ দেন পুলিশ বিভাগে। ইউনিভার্সিটিতে পড়া অবস্থায় সিদ্ধান্ত নেন পুলিশ ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেয়ার।
Advertisement
অভিবাসী পরিবারের সন্তান হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার স্বপ্ন তাকে পেয়ে বসে সেই সময়েই।
খন্দকার আবদুল্লাহ ১৯৯৩ সালে মা-বাবার সঙ্গে অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। নিউইয়র্কের কুইন্সের এস্টোরিয়া আর উডসাইড এলাকায় তিনি বেড়ে ওঠেন।
পুলিশের ক্যাপ্টেন পদে যোগ দেয়ার বিষয়ে খন্দকার জানান, যে নগরী আমাকে, আমার মতো অভিবাসীদের অনেক দিয়েছে, সে নগরীর নিরাপত্তার শপথ নেয়ার দিনটি ছিল বড় আবেগের। আশা করছি দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
Advertisement
বিভাগীয় চূড়ান্ত পরীক্ষার পর ১০ ডিসেম্বর খন্দকার আবদুল্লাহকে জানানো হয়, তিনি ২১ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
এনওয়াইপিডির সদস্যসংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার। নিয়মিত বাহিনীতে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। নিউইয়র্ক নগরীর ট্রাফিকসহ পুলিশের অন্যান্য বিভাগ মিলে এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
ক্রিমিনাল জাস্টিসে স্নাতক খন্দকার আবদুল্লাহ তার কর্মের জন্য এর মধ্যে পুলিশের আটটি মেডেল লাভ করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ নগরী নিউইয়র্কে খন্দকার আবদুল্লাহর হাতে গ্রেফতার হয়েছে অনেক খুনিসহ দুর্ধর্ষ অপরাধী।
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার তালতলা গ্রামের প্রয়াত খন্দকার মদব্বির আলী ও মুহিবুন্নেসা চৌধুরীর ছেলে খন্দকার আবদুল্লাহ শিশুকালে আমেরিকায় এলেও এখনো সাবলীল বাংলা বলেন। দুই সন্তানের জনক খন্দকার আবদুল্লাহ স্ত্রীকে নিয়ে লং আইল্যান্ড এলাকায় থাকেন।
Advertisement
এমআরএম/এমএস