রাজনীতি

সরকারের কারসাজিতে দ্বিধাবিভক্ত রায় : বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিলের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিট আবেদনে হাইকোর্ট যে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছেন তাতে ‘সরকারের কারসাজি’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেছেন, এটা সুস্পষ্ট যে, এর পেছনে সরকার কলকাঠি নাড়ছে, তা নাহলে দ্বিধাবিভক্ত রায় কেন? এতে সরকারের কারসাজি রয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনে রায়-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী আহমেদ।

রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, দেশের যেকোনো জায়গা থেকে বেগম খালেদা জিয়া আর শেখ হাসিনা নির্বাচন করবেন, খালেদা জিয়া যে ভোট পাবেন, শেখ হাসিনা তার এক-তৃতীয়াংশ ভোটও পাবে না। তাই তাকে (খালেদা জিয়া) নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে সরকারের এই কৌশল।’

তিনি বলেন, ‘এখনও বিষয়টি (খালেদার নির্বাচনে অংশগ্রহণ) বিচারাধীন, দেখি শেষ অবস্থা কোথায় যায়।’

Advertisement

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে গুজব, অপপ্রচার ও কুৎসা রটানোর জন্য দেশের জনপ্রিয় মিডিয়াগুলোর নামে ফেক ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। বিবিসি বাংলা, প্রথম আলো, বাংলা ট্রিবিউনসহ বেশ কিছু বহুল পঠিত অনলাইনগুলোর নামে এই ভুয়া ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে।’

রিজভীর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের দু-একজন কর্মকর্তা কাটপিস, ছবি এডিট করে, বিভিন্ন ভুয়া ভিডিও বানিয়ে নিজেদের আইডিতে শেয়ার করেন এবং ফেসবুক ইউটিউবসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেন। তিনি বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তিকে বিকৃতভাবে ব্যবহার করছে এই শাসকগোষ্ঠী।’

সাবেক এই ছাত্রনেতার ভাষ্য, ‘নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা শুরুর দিনই বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ শুরু করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিভিন্নস্থানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের প্রচারণার মাইক ভাংচুর এবং বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করেছে। অথচ প্রচারণার শুরুতেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আইনশৃঙ্ঘলা বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় মিছিল সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে জানতে পারছি-উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছ থেকে ব্লাঙ্ক রেজাল্ট শিটে স্বাক্ষর নিয়ে রাখছেন।’

Advertisement

কেএইচ/এসআর/এমকেএইচ