জাতীয়

চিড়িয়াখানায় ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছে দুদক

রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় পশুপাখিদের জন্য খাদ্য ক্রয় ও সরবরাহে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম চিড়িয়াখানায় অভিযান চালিয়ে এ চিত্র দেখতে পায়।

Advertisement

জানা গেছে গত ৬ ডিসেম্বর দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে এ অভিযান পরিচালিত হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক মোছাঃ সেলিনা আখতার মনি ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সবুজ হাসান সমন্বয়ে গঠিত একটি দল অভিযানে অংশ নেয়।

দুদকের ওই অভিযানে জাতীয় চিড়িয়াখানায় পশুপাখিদের জন্য খাদ্য ক্রয় ও সরবরাহে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ সময় দুদক টিম দেখতে পায় চিড়িয়াখানায় পশুপাখিদের খাবার সরবরাহ মারাত্মক অনিয়ম হচ্ছে। তৃণভোজী প্রাণীদের দুপুর ১২টার আগেই খাবার দেয়ার কথা থাকলেও বিকেল ৪টা পর্যন্ত তারা অভুক্ত ছিল। এ অবস্থায় দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক তাগিদ দেয়ায় সন্ধ্যা ৫টার দিকে তাদেরকে খাবার সরবরাহ করা হয়।

Advertisement

অন্যদিকে মাংসাশী প্রাণীদেরকে (বাঘ, সিংহ, হায়েনা ইত্যাদি) নিয়মিত তাজা মাংস সরবরাহের নিয়ম থাকলেও তাদেরকে বাসি খাবার দিতে দেখা যায়। আহাররত প্রাণিদের খাবারও অপর্যাপ্ত ছিল মর্মে দেখা যায়। এছাড়া পাখিদের খাওয়ার জন্য সরবরাহকৃত মাছ ফ্রোজেন ও দুর্গন্ধযুক্ত ছিল।

অভিযানকালে দুদক টিম প্রতিটি পশুপাখির সেল ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করে। সে সময় এসব স্থানে কেয়ারটেকার ও সুপার ভাইজারদের দেখা মেলেনি। এমনকি চিড়িয়াখানার পশু হাসপাতালে সংশ্লিষ্ট সার্জন ও চিকিৎসককেও অনুপস্থিত ছিলেন।

চিড়িয়াখানায় প্রাণিদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিধান থাকলেও মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় তা যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হয় না। সেই সঙ্গে বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশকেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত পাওয়া যায়।

এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিগগিরই এসব অনিয়ম দূর করার তাগিদ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।

Advertisement

 

এমইউ/এমএমজেড/এএইচ