টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর আসন বলে খ্যাত হলেও একাধিকবার নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে এ আসনের দাবিদার হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ।
Advertisement
তবে বাবার আসন খ্যাত ও পরিচিতি হারানো আসনটি পুনরুদ্ধারে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কাদেরকন্যা ব্যারিস্টার কুঁড়ি সিদ্দিকী।
এ অঞ্চলের মাটি ও মানুষের সঙ্গে কাদের সিদ্দিকীর গড়ে তোলা জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যে নিজেকে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে পরিচিত করে তুলেছেন কাদেরকন্যা কুঁড়ি।
একই সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীকে বাবার আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চান কুঁড়ি। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিজয় নিশ্চিত বলে আশাবাদী কুঁড়ি ও তার সমর্থক এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা।
Advertisement
এদিকে, মহাজোট মনোনীত নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ভিপি জোয়াহের এ আসনে প্রথম দফায় নির্বাচন করছেন। আসন রক্ষায় দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী, প্রথম সারির প্রত্যেক নেতারাসহ মাঠপর্যায়ের কর্মীরা বিভেদ ভুলে এক হয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জোয়াহেরুল ইসলামকে জয়ী করতে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
দলীয় প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা এবং কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেছেন তারা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও মহাজোটের প্রার্থী জয় নিশ্চিত করতে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
মনোনয়ন বাছাইয়ে ঋণখেলাপির অভিযোগে প্রার্থিতা হারান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম)। পরে এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হন কাদেরকন্যা ব্যারিস্টার কুঁড়ি সিদ্দিকী।
বাসাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি রাহাত হাসান টিপু ও সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জুলফিকার শামীম বলেন, আসনটিতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের জনপ্রিয় ব্যক্তি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। রাজনৈতিক কারণে বিভক্ত হলেও কাদের সিদ্দিকী সর্বদলীয়। তিনি সবার জনপ্রিয় নেতা।
Advertisement
যদিও বাছাইয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। পরে এ আসনে বঙ্গবীরকন্যা কুঁড়ি সিদ্দিকী ও দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকার মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়। পরবর্তীতে পরিকল্পনা ও নির্বাচনী কৌশলে বঙ্গবীরকন্যা কুঁড়ি সিদ্দিকীকে দলীয় প্রার্থী করা হয়। এতে কাদের সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা, দলীয় সমর্থক ভোটারসহ ধানের শীষ প্রতীকের ভোট যোগ হয়ে এখন আসনটির সর্বোচ্চ হেভিওয়েট প্রার্থী বঙ্গবীরকন্যা কুঁড়ি সিদ্দিকী। একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হলে কুঁড়ি সিদ্দিকী স্মরণকালের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জয়ী হবেন।
মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিষয়ে বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী অলিদ ইসলাম ও সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করতে ইতোমধ্যে আমরা দলের ভেতর সব বিরোধ নিষ্পত্তি করেছি।
২টি উপজেলা, ২টি পৌরসভাসহ সখীপুরের ৮টি ইউনিয়ন, ৮৮টি ওয়ার্ডে জরুরি সভা করা হয়েছে। এসব সভায় দলের শীর্ষ নেতারা সব বিভেদ ভুলে নৌকার প্রার্থী জোয়াহেরুল ইসলাম ভিপির পক্ষে কাজ করে জয়ী করার আহ্বান জানান।
আরিফ উর রহমান টগর/এএম/এমএস