ইয়েমেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে সুইডেনের রিম্বোতে জাতিসংঘের উদ্যোগে দেশটির সরকার ও হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ শান্তি আলোচনায় বন্দিবিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইয়েমেনে জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথ।
Advertisement
২০১৫ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হবার পর জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে দ্বিতীয়বারের মতো এ আলোচনা শুরু হয়েছে। বিবদমান সরকার ও হুতি বিদ্রোহী দলের প্রতিনিধিরা ওই আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। ইয়েমেনে জাতিসংঘের বিশেষ দূত গ্রিফিত চাইছেন এ আলোচনা যেন কমপক্ষে এক সপ্তাহ দীর্ঘ হয়।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত গ্রিফিত এই শান্তি আলোচনাকে দেশটির জন্য একটি মাইলফলক অভিহিত করে বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত এ চুক্তির মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাবে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তিন বছর ধরে চলা এ গৃহযুদ্ধের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দেশটিতে।
মার্টিন গ্রিফিথ শান্তি আলোচনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই কক্ষটিতে এখন যারা আলোচনায় বসেছেন তাদের হাতেই ইয়েমেনের ভবিষ্যৎ। ইয়েমেনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই যুদ্ধ বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে আমাদের।’
Advertisement
আলোচনা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আশাবাদী হওয়ার মতো বিষয় হলো দু’পক্ষই যুদ্ধের সহিংসতা থেকে সরে আসার কথা বলেছে। যা দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
এবারের শান্তি আলোচনায় যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তা হলো, ইয়েমেনের বন্দরনগরী হুদেইদাতে যুদ্ধবিরতি, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বন্দি বিনিময়, সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুনরায় চালু করা ও হুতি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগেুলোতে সরকারি চাকরিজীবীদের প্রাপ্য বেতন নিশ্চিত করা।
২০১৫ সালে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৫৬ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। সম্প্রতি জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফ জানিয়েছে, যুদ্ধের কবলে পড়ে দেশটিতে অপুষ্টিতে ভুগে ৮২ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এসএ/পিআর
Advertisement