একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হওয়ার খবরটি সঠিক নয়। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার কিছু সংবাদ মাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়। পরে এ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন এ ধরনের সংবাদ মিথ্যা। এ আসনে শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিএনপিসহ পাঁচ প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তারা কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। কাজেই শেখ হাসিনা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হওয়ার খবরটি গুজব।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনাসহ সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাইয়ে বিএনপির এক প্রার্থী এসএম জিলানী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী এজেএম অপুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। বাকি পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ হাসিনা, বিএনপির আরেক প্রার্থী এসএম আফজাল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. মারুফ শেখ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. উজির ফকির ও মো. এনামুল হক।
Advertisement
এদিকে, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী ইতোমধ্যে মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের জন্য জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করেছেন।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার বলেন, শেখ হাসিনা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হওয়ার খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যারা এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন তারা গুজব ছড়িয়েছেন। এ খবরের কোনো ভিত্তি নেই। এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় দুইজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। বাকি পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এদের কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান আরও বলেন, যে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা ইতোমধ্যে রিটার্নিং অফিসারের দফতর থেকে আপিলের জন্য সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করেছেন। শুনেছি তারা আপিল করবেন। কিন্তু এরই মধ্যে শেখ হাসিনা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হওয়ার খবর ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
এস এম হুমায়ূন কবীর/এএম/এমএস
Advertisement