সঙ্গীতাঙ্গনের নানা অনিয়ম নিয়ে অনেক দিন থেকেই কথা বলে আসছেন জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পী মাকসুদ ঢাকা ব্যান্ডের কর্ণধার মাকসুদুল হক। কয়েক দিন আগে শিল্পীদের রয়্যালিটির বিষয়ে সব শিল্পীদের এক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শ্রোতাদের গান কিনে শুনতে অনুরোধ করেন। এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে চারটি বিষয় উল্লেখ করার আহ্বান জানিয়েছেন এই শিল্পী।
Advertisement
মঙ্গলবার দুপুরে নিজের ফেসবুক ওয়ালে এক স্ট্যাটাসে মাকসুদুল হক লিখেছেন , ‘সংগীতশিল্পী বান্ধব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কাছে আহ্বান জানাই, আপনাদের নির্বাচনী ইশতেহারে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো স্পষ্ট করুন। বিষয়গুলো হলো-
১. মেধাসম্পদ আইন ও রয়্যালটির প্রায়োগিক বিষয়ে যথাবিহিত ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক প্রচলিত আইনের অধীনে তা শক্ত ভাবে প্রণয়ন করবেন। ২. বহুজাতিক কোম্পানিদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদে শিল্পীদের গান ফ্রি ডাউনলোড করার যে লুণ্ঠনের রাজত্ব বিরাজমান তা আইন করে বন্ধ করবেন।
৩. বাংলাদেশ টেলিরেগুলেটরি অথরিটির কতিপয় অসৎ কর্মচারী, যারা সরাসরি বহুজাতিক বেনিয়াদের মদদ দান ও উৎসাহিত করেন, সাংগীতিক চৌর্যবৃত্তির অপকর্মে লিপ্ত থাকার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দাখিল পূর্বক গ্রেফতার ও আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
Advertisement
৪. বাংলাদেশের শিল্পীদের সাংগীতিক কর্মকে ‘জাতীয় অপার্থিব সম্পদ’ হিসেবে মর্যাদা দেবেন এবং এই সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণসহ প্রচার, প্রসার ও ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সকল বিধির সাথে সমন্বয়সাধন পূর্বক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিতরণ ও বিপণন সুনিশ্চিত করবেন।
এদিকে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে মাকসুদুল হক বলেছিলেন, ‘একটা অসমাপ্ত যুদ্ধ আমাদের সামনে রয়ে গেছে। সেটা হলো কপিরাইট, কপিরাইট আন্দোলন। আমরা শিল্পীরা যখন অসুস্থ হই, তখন তার জন্য একটা তহবিল গঠন করা হয়। যেই সরকারই আসুক দুস্থ শিল্পীদের জন্য একটা ফান্ড থাকে। আমি বলি দুস্থ শিল্পীদের এই ফান্ড বাদ দেন। শিল্পীরা হচ্ছে দ্য এক্সপেনসিভ পোডাক্ট অব কান্ট্রি। আমরা কিছুই চাই না আমাদের নায্যটা বুঝিয়ে দিন।’
এমএবি/এমকেএইচ
Advertisement