যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা মনে করে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে তারা মঙ্গলে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হবে। তবে এর আগে প্রযুক্তিগত ও স্বাস্থ্যজনিত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে হবে নাসাকে। কারণ, মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাতে হলে যে পরিমাণ প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধন ও সেখানে থাকাকালীন মানুষের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবেলা করতে যে পরিমাণ দক্ষতায় এখনও পোঁছাতে পারেনি মহাকাশ সংস্থাটি।
Advertisement
তবে মঙ্গলে গবেষণা অব্যাহত রেখেছে নাসা। এ গবেষণারই অংশ হিসেবে মঙ্গলে রয়েছে নাসার মহাকাশযান ‘কিউরিওসিটি’। আর সেই কিউরিওসিটির ক্যামেরায় উঠে আসছে লালগ্রহের আশ্চর্য সব তথ্য। তবে এর মধ্যে আলোচনায় এসেছে মঙ্গলের এক উজ্জ্বল পাথর। যাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘গোল্ডেন রক’। একেবারে সামনে থেকে সেই পাথরের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে ‘কিউরিওসিটি’।
বিজ্ঞানের ভাষা এর এর নাম দেয়া হয়েছে ‘লিটল কলনস’। এটির উজ্জ্বল চেহারা দেখে মনে করা হচ্ছে এটি কোনো উল্কার অংশ। তবে এখনও তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এজন্য পাথরটি রসায়নের মাধ্যমেই পরীক্ষা করার প্রয়োজন হবে। এতে ব্যবহার করা হবে ‘কিউরিওসিটি’-র কেম ক্যাম। এর মাধ্যমেই দেখা হবে পাথরের আসল চরিত্র।
কেম ক্যাম থেকে লেজার রশ্মি বের হয়। সেই রশ্মি দিয়েই খুঁটিয়ে দেখা হবে ওই পাথর। ক্যামেরায় যা দেখা যায় তার থেকে ১০ গুণ ছোট জিনিসও দেখাতে পারে কেম ক্যাম।
Advertisement
বর্তমানে কিউরিওসিটি মঙ্গলের পাহাড়ি এলাকায় ভেরা রুবিন গিরিশিরায় আছে। সেটি সেখানে একটি ছাই রঙের বেডরক নিয়ে কাজ করছে। সূত্র: ডেইলি হান্ট
এসআর/জেআইএম