মাইলফলকটা ছুঁতে পারতেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টেই। সে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ রান করলেই হতো মুশফিকের। তিনি পারেননি সে ইনিংসে, পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টেও। তবে সেই ঢাকায় ফিরেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে চার হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন ৩১ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
Advertisement
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন মুশফিক। তবে দেবেন্দ্র বিশুর বলে এক রান নিয়ে ৮ রান পূরণ করতেই ৪০০০ রান হয়ে গিয়েছে তার। এর আগের তিনটি হাজার রানের মাইলফলকেই বাউন্ডারি মেরে প্রবেশ করেছিলেন মুশফিক।
২০১০ সালের চট্টগ্রাম টেস্টে স্টুয়ার্ট ব্রডকে বাউন্ডারি মেরে করেছিলেন ১০০০, তিন বছর পর একই ভেন্যুতে ইশ সোধির ডেলিভারিকে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ২ হাজার ও ২০১৬ সালে হায়দরাবাদ টেস্টে ইশান্ত শর্মাকে বাউন্ডারিতে ৩ হাজার পূরণ করেছিলেন মুশফিক। তবে তার আগে ৪০০০ পূরণ করা তামিম প্রতিটি হাজারেই প্রবেশ করেছেন বাউন্ডারি মেরে।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ব্যাটসম্যান হিসেবে বেশ পিছিয়ে থাকা মুশফিক খুব দ্রুতই উন্নতি করেছেন নিজের। ২০০৫ সালে টেস্ট অভিষেকের পর ১০০০ রান করতেই কেটে যায় ৫ বছর, খেলেন ২০টি টেস্টের ৪০টি ইনিংস। এর পর মাত্র ২৭ ইনিংস খেলে ২০০০ রানে ও ২৮ ইনিংস খেলেন ৩০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ৩০০০ থেকে ৪০০০ রানে ঢুকতেও তিনি খেলেছেন ২৮টি ইনিংস।
Advertisement
বাংলাদেশের হয়ে মাত্র দ্বিতীয় হলেও, বিশ্ব ক্রিকেটে বেশ পিছিয়েই বলতে হবে মুশফিককে। তার আগেই তামিম ইকবালসহ মোট ১২৮ জন ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটে করেছেন ৪০০০+ রান। ইতিহাসের ১২৯তম ব্যাটসম্যান হিসেবে এ মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিক। এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০০ রান পূরণ হলেও, ওয়ানডে ক্রিকেটে এরই মধ্যে ৫০০০ এর বেশি রান রয়েছে মুশফিকের। তবে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় মুশফিকের সামনে কেবল তামিম থাকলেও, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের পাশাপাশি মুশফিকের সামনে রয়েছেন সাকিব আল হাসানও।
এসএএস/পিআর