বাংলাদেশ দলের একাদশে চার স্পিনারের সাথে কোনো স্পেশালিস্ট পেসার না থাকায় ভাবা হচ্ছিলো ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই হয়তো চরকির মতো ঘুরবে বল; কিন্তু মাঠের খেলায় ঠিক ততটা কঠিনও হয়নি ব্যাটিং। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের অভিষিক্ত ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক দেখাচ্ছেন টেস্ট ব্যাটিংয়ের দৃঢ়তা।
Advertisement
ব্যাটিং কঠিন হয়নি অপর ওপেনার সৌম্য সরকার কিংবা তিনে নামা মুমিনুল হকের জন্যও; কিন্তু এ দুজনই নিজেদের উইকেট বিলিয়ে আসায় লাঞ্চের আগে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। বিরতি পর্যন্ত সাদমান অপরাজিত ৩৬ রানে, খেলে ফেলেছেন ১১৬টি বল। সৌম্য ১৯ এবং মুমিনুল ২৯ রান করে নিজেদের উইকেট দিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৮৭ রান।
২-০’তে সিরিজ জয়ের মিশনে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রয়ে সয়ে খেলছিলেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং অভিষিক্ত সাদমান। প্রথম টেস্টের কুৎসিত ব্যাটিংয়ের সমাপ্তি ঘটিয়ে এ ম্যাচে দারুণ শুরু করেন সৌম্য। বলের গুনাগুণ বুঝে এগিয়ে নিচ্ছিলেন নিজের ইনিংস।
অন্য পাশে ২৩ বছর বয়সী সাদমানও নির্ভরতার সাথে জানান দিচ্ছিলেন নিজের উপস্থিতির কথা। বলের মান বুঝে উইকেটের চার পাশেই খেলেছেন তিনি। সৌম্যর সাথে জুটিতে নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন প্রথম ঘণ্টা; কিন্তু ইনিংসের ১৬তম ওভারে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে সৌম্যের। রস্টোন চেজের হালকা ঝুলিয়ে দেয়া বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে স্লিপে ধরা পড়েন তিনি। উদ্বোধনী জুটি থামে ৪২ রানে।
Advertisement
তিনে নেমে মুমিনুল খেলছিলেন চলতি বছর নিজের ফর্মের ছাপ রেখেই। টার্নিং উইকেটের কথা ভাবা হলেও, ক্যারিবীয় বোলাররা তেমন কোনো ভয়ই তৈরি করতে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মনে নিয়মিত সিঙ্গেলস-ডাবলসের পাশে একটি-দুইটি বাউন্ডারি মেরে দলের রানের চাকা সচল রাখেন সাদমান ও মুমিনুল।
দু’জনের জুটিতে ততক্ষণে যোগ হয়ে গেছে ৪৫ রান। লাঞ্চ ব্রেকের বাকি ছিলো এক ওভার। সে ওভারে বোলিংয়ে আসেন কেমার রোচ। ওভারের পঞ্চম বলে অফস্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে লেগসাইডে খেলতে গিয়ে অপ্রস্তুত এক পজিশনে পড়ে যান মুমিনুল। যে কারণে তার হাফ পুল ও হাফ ড্রাইভ শটটি জমা পড়ে মিডঅন ফিল্ডারের হাতে। আউট হওয়ার আগে তিনি দুই চারের মারে করেন ৪৬ রান।
এসএএস/আইএইচএস/এমএস
Advertisement