দেশজুড়ে

কারাবন্দীদের চিকিৎসায় আমরা ব্যর্থ : কারা মহাপরিদর্শক

কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেছেন, কারাবন্দীদের চিকিৎসায় আমরা কার্যত ব্যর্থই বলা চলে। এই মুহূর্তে দেশের ৬৮টি কারাগারে মাত্র আটজন চিকিৎসক রয়েছেন। মাত্র ১১টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। কারাবন্দীদের পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ বন্দীদের মধ্যে বালিশ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৮টি কারাগারের প্রতিটিতে প্রায় ৯৫ হাজার বন্দীকে বালিশ প্রদান করা হবে।

কারা মহাপরিদর্শক বলেন, কারা ইতিহাসে প্রথম আজ বন্দীদের মাঝে বালিশ বিতরণ করা হলো। ইতিপূর্বে প্রত্যেক বন্দী তিনটি কম্বল পেতেন। যার একটি বালিশ হিসেবে ব্যবহার হত।

তিনি আরও বলেন, গিগগিরই কারাগারের বন্দীদের সকালের নাস্তা পরিবর্তন করা হচ্ছে। আগের রুটির সঙ্গে শুকনা গুড়ের টুকরা দেয়ার পরিবর্তে সবজি, হালুয়া এবং খিচুড়িসহ সপ্তাহের একেক দিন একেক আইটেম নাস্তা সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বন্দীদের নাস্তার ব্যয় হিসেব করে আর্থিক অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করি এর অনুমোদন ও বাস্তবায়ন অতি গিগগিরই হবে।

Advertisement

সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, এ যাবত বৃটিশ সময়কার আইন-কানুন অনুয়ায়ী আমাদের দেশের কারাগারগুলো পরিচালিত হচ্ছে। কারাগারগুলোকে সংশোধনাগার হিসেবে পরিচালিত করতে আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এজন্য নীতিমালা ও আইনের কিছু পরিবর্তন করা প্রয়োজন। সে আইন পরিবর্তিত হচ্ছে এবং সেটার জন্য ইতিমধ্যে খসড়া নীতিমালা ও আইন লেখা হয়ে গেছে। সেটা পার্লামেন্ট থেকে অনুমোদন পেলে আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে ১৫দিন অন্তর কারাবন্দীরা টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ পাবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দেশে ৬৮টি কারাগারে বুথ স্থাপনের কাজ শেষ হলেই কারাবন্দীরা সে সুযোগ পাবেন। এছাড়া কারাবন্দীদের তৈরি করা পণ্য ও দ্রব্য বিক্রি করে যে লভ্যাংশ পাওয়া যায় তার অর্ধেক অর্থ পারিশ্রমিক হিসেবে বন্দীদের দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সিনিয়র সুপার সুব্রত কুমার বালা, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান, ডেপুটি জেলার মো. তারিকুল ইসলামসহ কারা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কারা মহাপরিদর্শক অনুষ্ঠানে বন্দীদের জন্য কয়েকটি টিভিও সরবরাহ করেন।

আমিনুল ইসলাম/আরএআর/পিআর

Advertisement