ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভেজাল মদপানে ৭ জনের মৃত্যু ও গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ১৯ জনকে। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুর নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
ঘটনার শুরু মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। শান্তিপুর থানার নৃসিংহপুর চৌধুরী পাড়ায় প্রচুর ইটভাঁটা শ্রমিক ও দিনমজুর বসবাস করে। সন্ধ্যার পর থেকেই অনেকে অসুস্থ হতে শুরু করেন। অনেকেরই পেট ব্যথা, শরীর ও চোখ জ্বালাপোড়া করতে থাকে। পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করলে তাদেরকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
রাতেই হাসপাতালে চিকিৎনাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তিনজনের। বুধবার সকালে মৃত্যু হয় আরও চারজনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মূখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওই এলাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’ তাছাড়া কারা মদে ভেজাল মিশিয়ে এরকম ঘটনা ঘটালো তার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিবেদন পেয়েছি যে অবৈধ ওই মদগুলোতে নিশ্চয়ই কোনো ধরনের ভেজাল মেশানো হয়েছে। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমেই কেবল জানা যাবে যে মদগুলোতে কি ধরনের বিষাক্ত দব্র মিশ্রিত ছিল। নিহতদের পরিবারের জন্য দুই লাখ রুপি অর্থ সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার।’
আরও পড়ুন>> পতিতালয়ে ১৫ বছর পাশবিকতার শিকার ওরাংওটান!
এদিকে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মর্মান্তিক এ মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছে। বিজেপির সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেছেন, ‘ভেজাল মদ খেয়ে এত মানুষ মারা যাওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস শুধু আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে কিন্তু এ সমস্যা সমাধানে যথাযথ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে। সেই ঘটনায় রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সংগ্রামপুরে ভেজাল মদপানে ১৭০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
Advertisement
এসএ/জেআইএম