ইমরান খান। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ে। অবসরের পর খেলার মাঠ ছেড়ে রাজনীতির মাঠে নামেন। রাজনীতির মাঠে জয়ী হয়ে পেয়েছেন দেশ চালানোর অধিনায়কত্ব। সেখানেও সফলতার সঙ্গে সবচেয়ে বড় ‘শত্রু’ ভারতকে কৌশলগত ভাবে মোকাবিলা করছেন।
Advertisement
বুধবার ভারতসীমান্ত সংলগ্ন কার্তারপুর করিডোরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর তিনি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরত্বারোপ করে বলেন, পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই দেশ কখনও একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াবে না। চলতি বছরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর ইমরান খান বলেছিলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে ভারত যদি এক পা এগিয়ে আসে তাহলে পাকিস্তান দুই ধাপ এগিয়ে আসবে।
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খান বলেন, ‘পাকিস্তান ও ভারতের অবস্থান আজকে কোথায়? আমরা বিগত ৭০ বছর ধরে এমনটা দেখে আসছি। আমরা যদি একে অপরকে দোষারোপ না করি, সম্পর্ক উন্নয়নে এগিয়ে না আসি তাহলে অবস্থা সারাজীবন এমনই থাকবে। আমাদের উভয় পক্ষেরই কিছু ভুল-ত্রুটি আছে। তাই বলে তো অতীত নিয়ে বসবাস করতে পারি না। বরং অতীতের এসব খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নিজেদের সংশোধন করা উচিত।’
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শান্তি আলোচনার জন্য নিয়মিত আহ্বান জানালেও তা প্রত্যাখান করে আসছে ভারত। ভারতের অভিযোগ পাকিস্তান ভারতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। এসব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো আলোচনা করবে না।
Advertisement
এদিকে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় আগামী সার্ক সম্মেলন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন কার্তারপুর করিডোর নির্মাণ ও পাকিস্তান যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদদ দেয়া বন্ধ না করে তাহলে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছর ধরে অর্থাৎ ২০১৩ সাল থেকে দেশ দুটির মধ্যে আলোচনা বন্ধ রয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিগত অধিবেশনে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠক আয়োজনের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করে দেয় ভারত।
এসএ/জেআইএম
Advertisement