আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রয়োজনে বিভিন্ন বিষয়ের বিবরণ ও দিক-নির্দেশনামূলক আয়াত নাজিল করেছেন। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেসব আয়াতের ব্যাখ্যা বিশ্লেষন ও দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন। যাতে মানুষ দ্বীনের সঠিক পথে পরিচালিত হতে পারে।
Advertisement
আবার এমন অনেক আয়াত নাজিল করেছেন, যা কুরআনুল কারিমের বিশেষ হেকমত। সেসব আয়াতের বিভ্রান্তিমূলক ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা তা করবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মানুষ যাতে কোনোভাবে দ্বীন থেকে বিচ্যুত না হয়, সে ব্যাপারে দোয়া ও সতর্কতা ঘোষণা করেছেন।
মানুষের কল্যাণে যাবতীয় বিপদাপদ থেকে বেঁচে থেকে দ্বীনের ওপর অবিচল থাকার এবং ইসলামের কোনো বিষয়েই সন্দেহ পোষণ না করার সতর্কতা ঘোষণা করে আল্লাহ তাআলা বলেন-
আয়াতের অনুবাদহে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যখন আমাদেরকে হেদায়েত দান করেচ তখন আর আমাদের অন্তরকে বাঁকা করো না। আমাদেরকে তোমার রহমত দান কর। নিশ্চয় তুমিই মহান দাতা। হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয় আপনি একদিন মানুষকে একত্রিত করবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৮-৯)
Advertisement
আয়াতের পরিচয় ও নাজিলের কারণসুরা আল-ইমরানের ৮ ও ৯নং আয়াতে ইসলাম ও দ্বীনের সঠিক পথের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার কথা বলা হয়েছে। মানুষ যাতে কোনোভাবেই ইসলাম ও দ্বীন থেকে বিচ্যুত না হয় সে ব্যাপারে নসিহত পেশ করা হয়েছে আয়াতদ্বয়ে।
আলোচ্য আয়াত দ্বারা একটি প্রমাণিত যে, হেদায়েত পাওয়া ও না পাওয়া আল্লাহর মর্জির ওপর নির্ভরশীল। তাই তার হেদায়েতের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে তারই কাছে ধরণা উপদেশও তিনি দিয়েছেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, এমন কোনো অন্তর নেই যা আল্লাহ তাআলার নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। অতএব, আল্লাহ তাআলার মহান দরবারে তার হেদায়েতের তাওফিক কামনা করে দোয়া করা কল্যাণকামী মানুষের একান্ত কর্তব্য।
এ কারণেই কুরআনের ভূমিকাতেই আল্লাহ তাআলা মানুষ এ কথা স্মরণ করার উপদেশ দিয়েই ক্ষ্যন্ত হননি বরং প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজে তা পড়াকে বিধান করে দিয়েছেন। আর সেখানে প্রতি রাকাআতেহ মানুষ বলে থাকেন-(হে আমাদের প্রতিপালক! ) আমাদেরকে সরল সঠিক পথ দেখান।’
Advertisement
আরও পড়ুন > কুরআনের সব আয়াতের ব্যাখ্যা জানা কি আবশ্যক?
সুরা আল-ইমরানের উল্লেখিত আয়াতদ্বয়েও সে একই দোয়া করার মাধ্যমে নিজেদের দ্বীনের সঠিক পথ ও মতের ওপর থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দ্বীনের সঠিক পথ ও মতের ওপর একনিষ্ঠ থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর