হঠাৎ করে রাস্তাজুড়ে উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি। আধো আলো আধো অন্ধকারাচ্ছন্ন রাস্তায় ডজনখানেকেরও বেশি মোটরসাইকেল। সমস্বরে বেজে উঠল হর্ন। উৎসুক জনতা তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছিলেন ঘটনা কী?
Advertisement
মোটরসাইকেল আরোহীরা গলা ফাটিয়ে স্লোগান ধরেন ‘আমার ভাই তোমার ভাই, হাজী সেলিম ভাই, হাজী সেলিম ভাই। সেলিম ভাইয়ের সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন।’
আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু না হলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-৭ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের পক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এভাবেই শোডাউন করেন তার কর্মী সমর্থকরা।
এদিন সন্ধ্যায় লালবাগ, শেখ সাহেব বাজার, আজিমপুর, নতুন পল্টনলাইন, নবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেলযোগে তার কর্মী সমর্থকদের এমন শোডাউন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন ওসব এলাকার বাসিন্দারা।
Advertisement
এ আসনে হাজী সেলিম ও ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। হাজী সেলিমের পক্ষে স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রতিদিন মিছিল ও গণসংযোগ শুরু করেছেন। হাজী সেলিমের অনুসারীরা ব্যাপক সরব হলেও নীরব আবুল হাসনাতের অনুসারীরা।
এলাকাবাসীর পক্ষে কথা বলে জানা গেছে, তারা এখনও আবুল হাসনাতের কোনো ধরনের তৎপরতা দেখেননি। চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পেলে তবেই তিনি প্রচারণায় নামবেন।
এ এলাকায় নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে ভীষণ আশাবাদী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। গতবার তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলেও দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মো. সেলিমের কাছে পরাজিত হন। এ কারণে এবার হাজী সেলিমকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ আসনে আরও একজনকেও মনোনয়ন ফরম দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত হাজী মো. সেলিমই মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীরা জানান, এ আসনে মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে ডা. জালালকে এভাবে অবমূল্যায়ন করা হবে তা তারা মেনে নিতে পারছেন না। ডা. জালালের সমর্থক কর্মীরা একেবারে চুপসে গেছেন। আসন্ন নির্বাচনে তারা কী করবেন তা নিয়ে ভাবছেন, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন।
Advertisement
এমইউ/জেডএ/আরআইপি