রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ফিরেছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। রোববার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
Advertisement
তবে তাকে স্বাগত জানাতে টানা চার ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষায় কাটিয়েছেন তার নির্বাচনী এলাকার কয়েকশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী। পরে ফারুক চৌধুরী বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
ওমর ফারুক চৌধুরী টানা দুই মেয়াদে এই আসনের সংসদ সদস্য। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদেও রয়েছেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, বাধ্য হয়েই শিক্ষক কর্মচারীরা এসেছিলেন তাকে স্বাগত জানাতে। দীর্ঘ অপেক্ষায় ভোগান্তিতেও পড়েন তারা। শিক্ষকদের এই কাজে জড়ানো নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করছেন অনেকে। তবে কেউ এনিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে সাহস পাচ্ছেন না।
Advertisement
এর আগেও বিভিন্ন সময় এমপির কর্মসূচি পালনে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন শিক্ষক জানান, গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিজ্জামান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজুদ্দিন বিশ্বাস এবং তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন অর রশিদ শিক্ষকদের জড়ো করেন। দুপুর ১২টার মধ্যেই রাজশাহী বিমানবন্দরে পৌঁছাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের নির্দেশ দেন নেতারা। এমপির নির্দেশ জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা শিক্ষকদের নিয়ে যান বিমানবন্দরে। ক্লাস-পরীক্ষা ফেলে আসতে বাধ্য হন শিক্ষকরাও।
কিন্তু চার ঘণ্টা পর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছান ফারুক চৌধুরী। পরে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের কবর জিয়ারত করেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে এমন ঘটনা নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম আব্দুল কাদের। তবে ঘটনাস্থল নির্বাচনী এলাকার বাইরে হওয়ায় এবার পার পাচ্ছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। নির্বাচনী এলাকায় শিক্ষক-কর্মচারীদের এমন কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে কয়েক দফা যোগাযোগ করে ওমর ফারুক চৌধুরীর মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। এসএমএস দিয়েও সাড়া মেলেনি তার।
Advertisement
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/পিআর