আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে যখন মাঠে গড়াবে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), তখন বাংলাদেশ দল ব্যস্ত থাকবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে। তাই সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের ধরে রাখেনি পিএসএলের দলগুলো।
Advertisement
তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) পরবর্তী মৌসুমের সময় কোনো খেলা নেই বাংলাদেশের, তাই টাইগার ক্রিকেটারদের পাওয়া- না পাওয়া নিয়ে সংশয় নেই দলগুলোর। তবু কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানকে আগেই ছেড়ে দিয়েছিল তার দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। তার বদলে দলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কককে।
মোস্তাফিজ দল হারালেও, আইপিএলে তার অগ্রজ সাকিব আল হাসানকে নিজেদের দলে রেখে দিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএলের সব শেষ মৌসুমে হায়দরাবাদের হয়ে ১৭ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ২৩৯ রান এবং বল হাতে ১৪ উইকেট নিয়ে দলকে রানারআপ করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন সাকিব।
যে কারণে ডেভিড ওয়ার্নার, ইউসুফ পাঠান, রশিদ খান, বিলি স্ট্যানলেক, কেন উইলিয়ামসন, মোহাম্মদ নাবী, ভুবনেশ্বর কুমার, মানিশ পান্ডে, থাঙ্গারাসু নটরঞ্জন, রিকি ভুই, সন্দ্বীপ শর্মা, শ্রিভাস্ত গোস্বামি, সিদ্ধার্থ কাউল, খলিল আহমেদ, বাসিল আহমেদ ও দ্বীপক হুদার পাশাপাশি সাকিব আল হাসানকেও ধরে রেখেছে হায়দরাবাদ।
Advertisement
অন্যদিকে ২০১৮ সালের মৌসুমে মুম্বাইয়ের খুব বেশি ভালো করতে পারেননি মোস্তাফিজ। ৭ ম্যাচে মোটে নিয়েছিলেন ৭টি উইকেট। রান খরচ করেছিলেন ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে আট (৮.৩৬) করে। বোলিং যেমন তেমন সমস্যা ছিল খুবই বাজে ফিল্ডিং করেছিলেন তিনি সেবার। একের পর এক ক্যাচ ছেড়ে মুম্বাইকে কয়েকটা ম্যাচে হারিয়েই দেন। যে কারণে, আইপিএলের মাঝপথ থেকে তাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং শেষ পর্যন্ত আর খেলতেই পারেননি তিনি। এ কারণেই হয়তো এবার, তাকে ছেড়ে দিয়েছে মুম্বাই।
এসএএস/এমএস