জাতীয়

প্রশাসনে মিশে গেল ইকোনমিক ক্যাডার

সিভিল সার্ভিসের ইকোনমিক ক্যাডার প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে মিশে গেল। এজন্য মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডার এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ইকোনমিক) ক্যাডার একীভূতকরণ আদেশ, ২০১৮’ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর আদেশের গেজেটও প্রকাশ করা হয়।

Advertisement

অধিকতর গতিশীল সমন্বিত ও জনবান্ধব প্রশাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও ইকোনমিক ক্যাডার একীভূত করা হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, প্রশাসন এবং ইকোনমিক ক্যাডারের সব পদ এবং জনবল প্রশাসন ক্যাডারের পদ ও জনবল হবে। সরকারি কর্ম কমিশনের সমন্বিত মেধা তালিকা অনুসারে পুলে যোগ দেয়া ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতা নিজ নিজ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাথে নির্ধারিত হবে।

একীভূত করার উদ্দেশ্যে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী একীভূত ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সমপদে পদায়ন, জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ এবং একীভূত করার সব প্রক্রিয়ার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হবে।

Advertisement

এই আদেশ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা বা এই আদেশে উল্লেখিত হয়নি এমন কোনো বিষয়ে আদেশের প্রয়োজন হলে সরকার ব্যাখ্যা বা প্রয়োজনে আদেশ দিতে পারবে।

ইকোনমিক ক্যাডার বিলুপ্ত করতে ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসেস (রি-অর্গানাইজেশন) অর্ডার, ১৯৮০’ সংশোধিত হবে।

ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তার সংখ্যা ৪৬৪ জন। প্রশাসন ক্যাডারে বর্তমানে কর্মকর্তা সংখ্যা ৪ হাজার ৮৪৫ জন। ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তারা একীভূত হওয়ায় প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার মোট সংখ্যা হল ৫ হাজার ৩০৯ জন।

  গেজেটটি পড়তে ক্লিক করুন  

ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন থেকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে তাদের একীভূতের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এরপর ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর দুই ক্যাডার একীভূত করা নিয়ে উভয় ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়।

Advertisement

ইকোনমিক ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করতে ২০১৭ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। ওই বছরের ৩০ মে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি দুই ক্যাডার একীভূতে সম্মতি দেয়।

ইকোনমিক ক্যাডার প্রশাসনে মিশে যাওয়ায় এখন ক্যাডারের সংখ্যা দাড়াল ২৭টি।

আরএমএম/এসএইচএস/আরআইপি