বাংলাদেশ দূতাবাস ওমানের হেড অব চেন্সারি আবুল হাসান মৃধার বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা দিয়েছে ওমানের সামাজিক সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতি ওমান। এ উপলক্ষে গতকাল মাস্কাটের একটি অভিজাত পাঁচতারকা হোটেলে ডিনারপার্টির আয়োজন করে সংগঠনটি।
Advertisement
সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মাদ ইয়াসিন চৌধুরী সিআইপির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দূতাবাসের প্রথম সচিব আবু সাঈদ ও দ্বিতীয় সচিব আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী সহ চট্টগ্রাম সমিতির সিনিয়র নেতা-কর্মীরা।
বাংলাদেশ দূতাবাস ওমানের হেড অব চেন্সারি আবুল হাসান মৃধা দীর্ঘদিন ওমানে বেশ সুনামের সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করেছেন বলে বক্তারা তাদের আলোচনায় উল্লেখ করেন। সিআইপি ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ তার আলোচনায় চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের নানা কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে ইয়াসিন চৌধুরী সিআইপি বলেন, চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একটি করে মরদেহ দেশে পাঠানো হচ্ছে এবং সেইসঙ্গে ওমানে যে সকল অসুস্থ বাংলাদেশি প্রবাসী টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যে সকল মানুষ ওমানের জেলখানায় রয়েছে, তাদের দেশে পাঠাতে বিমানের টিকিট ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে দিচ্ছে গঠনটি।
Advertisement
আবুল হাসান মৃধা তার ওমানে থাকাকালীন প্রবাসীদের জন্য এমআরপি সুবিধা ও আউটপাশসহ নানা কল্যাণকর কাজ করেছেন, প্রধান অতিথির আলোচনায় তার দীর্ঘদিন ওমানের নানা অভিজ্ঞতা ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ সময়, তিনি বলেন ইচ্ছা থাকলে সরকারি কর্মকর্তারা অনেক সেবাই দিতে পারে সাধারণ মানুষকে। সেইসাথে তিনি রেমিটেন্স প্রেরণে ওমানে এখন বিশ্বের ৪ নম্বরে অবস্থান করছে বলে সবাইকে অবহিত করেন।
দূতাবাসের প্রথম সচিব আবু সাঈদ তার আলোচনায় চট্টগ্রাম সমিতির ভূয়সী প্রশংসা করেন, তিনি বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাটের খেলার মাঠ সবুজায়নের জন্য চট্টগ্রাম সমিতিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেন। আগামীতে বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাটের জন্য আরো অবদান রাখার অনুরোধ করেন তিনি।
এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন এস এম জসিম উদ্দিন, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল ইসলাম নুরু, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুর রহমান সিআইপি, জামাল চৌধুরী, হাজী গোফরান। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা উপদেষ্টামণ্ডলী, সাধারণ সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। এ ছাড়া এটিএন বাংলার ওমান প্রতিনিধি মুহাম্মাদ বাইজিদ আল- হাসান।
আবুল হাসান মৃধা ১ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ১৩ নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত ওমানে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাউন্সিলর ও হেড অব চেন্সারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতোপূর্বে তিনি বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন কলিকাতা ও বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন এ কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, এখন তিনি প্রমোশন পেয়ে রাশিয়ায় কাউন্সিলর হিসেবে যাচ্ছেন।
Advertisement
বাইজিদ আল হাসান/এমআরএম/এমএস