তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন ছিলেন মুশফিকুর রহীম। একাধারে উইকেটরক্ষক। সঙ্গে ব্যাট হাতে ডাবল সেঞ্চুরি। উইকেটরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সঙ্গে ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০০ কিংবা তার বেশি রানের অনন্য কীর্তি গড়া ব্যাটসম্যানদের এলিট ক্লাবে মুশফিক ছিলেন অষ্টম ক্রিকেটার।
Advertisement
এতদিন এই ক্লাবে মুশফিকের সঙ্গে ছিলেন সাতজন। এবার সেই সাতজনকে এক সঙ্গে পেছনে ফেলে দিলেন। নিজেকে এমন এক উচ্চতায় মুশফিক তুলে ফেললেন, যেখানে আর কেউ নেই। তিনি একা। সবার ওপরে উঠে এখন বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান অপেক্ষা করবেন অন্য কারও জন্য। কেউ কি পারবেন, মুশফিককে ছুঁতে? আপাতত সম্ভবনা নেই। কারণ, তার পেছনেও এখন আর কেউ নেই।
নতুন ওঠা উচ্চতাটা হলো, কারেন্ট উইকেটরক্ষক হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি। ঢাকার মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলার পরই এই উচ্চতাটা ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি।
২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার গলে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। সেবার ২০০ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর বাংলাদেশের ক্রিকেটে এসেছে আরও দুটি ডাবল সেঞ্চুরি। তামিম করেছিলেন ২০৬ রান এবং সাকিব করেছিলেন ২১৭ রান। এবার মুশফিক সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন। অপরাজিত থাকলেন ২১৯ রানে। দেশের ইতিহাসে এক ইনিংসে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রানটাও হয়ে গেলো মুশফিকের।
Advertisement
উইকেটরক্ষক হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করে এর আগে মুশফিকের সঙ্গী ছিলেন পাকিস্তানের ইমতিয়াজ আহমেদ, তাসলিম আরিফ, শ্রীলঙ্কার ব্রেন্ডন কুরুপ্পু, জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা ও ভারতের মাহেন্দ্র সিং ধোনি। সাঙ্গাকারা-গিলক্রিস্টরা পরবর্তীতে আরও ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু তারা তখন উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন না।
অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক এবং ডাবল সেঞ্চুরি- এ ভুমিকায় মুশফিকের সঙ্গে ছিলেন এতদিন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে, মুশফিক এবার ডাবল সেঞ্চুরি করলেও ধোনিকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। কারণ, মুশফিকুর রহীম কিন্তু প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটা অধিনায়ক হিসেবে করলেও, দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরিটা অধিনায়ক হিসেবে করেননি।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement