সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের কাছে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার রেকর্ডিং পাঠিয়েছে তুরস্ক। শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
Advertisement
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন সৌদির ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি। কনস্যুলেটের ভেতরেই তাকে হত্যা করা হয়।
ওই হত্যাকাণ্ডের একটি অডিও রেকর্ডিং কর্তৃপক্ষের কাছে আছে বলে দাবি করেছিল তুরস্ক। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ওই রেকডিং প্রকাশ করা হয়নি এবং এর অস্তিত্ব আদৌ আছে কিনা সে বিষয়েও তখন নিশ্চিত করা হয়নি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদানের লক্ষ্যে ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে দেশত্যাগের আগে দেয়া এক ভাষণে এরদোয়ান বলেন, ২ অক্টোবর জামাল খাশোগি নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে যে ১৫ জন ইস্তাম্বুলে এসেছিল খাশোগির হত্যাকারী ওই দলে মধ্যেই আছে। আর সেটা সৌদি জানে।
Advertisement
আমরা খাশোগি হত্যার টেপ দিয়েছি। ওই টেপ সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনকে দেয়া হয়েছে। তারা ওই অডিও টেপে থাকা সব কথাবার্তা শুনেছেন।
শনিবার খাশোগির মরদেহ উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান শেষ করেছে তুর্কি পুলিশ। তবে ৫৯ বছর বয়সী এই সাংবাদিকের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।
ইস্তাম্বুলে শুক্রবার সৌদির কনস্যুল জেনারেলের বাসভবনে এসিডের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। ওই বাসভবনের আশেপাশেই খাশোগির মরদেহ কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদিকে দায়ী করা হলেও প্রথমদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল তারা। পরে অবশ্য দেশটির তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, কনস্যুলেটের ভেতরে সংঘর্ষে জড়িয়ে নিহত হয়েছেন জামাল খাশোগি। কিন্তু তার মরদেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
Advertisement
টিটিএন/এমএস