মাত্র এক বছর আগের কথা। তিনি কাজ করতেন ম্যানহাটনের একটি পানশালায়। থাকতেন নিউ ইয়র্ক সিটির শহরতলী পার্কচেস্টারে ছোট্ট একটি ফ্ল্যাটে। এখনও সেখানে থাকেন, ভাগাভাগি করে। কিন্তু এ বার যে ঠিকানা বদলাতেই হবে।
Advertisement
সে দিনের সেই ‘বার টেন্ডার’ আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-কোর্তেজ এখন মার্কিন কংগ্রেসের নির্বাচিত প্রতিনিধি। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেমোক্র্যাট টিকিটে জিতে মাত্র ২৯ বছর বয়সেই যাচ্ছেন ওয়াশিংটন ডিসির অফিসে। থাকতেও হবে সেখানে। কিন্তু তিনি পড়েছেন সমস্যায়। কারণ, পকেট তার ফাঁকা। নতুন কাজের প্রথম বেতন না পাওয়া পর্যন্ত ওয়াশিংটনে একটা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেয়ার ক্ষমতা তার নেই বলেই জানালেন কংগ্রেসের সবচেয়ে কমবয়সী এই সদস্য।
‘আপাতত বেকার’ আলেকজান্দ্রিয়া টুইট করেছেন- ‘গত বছরও বার টেন্ডারের কাজ করেছি। আর এই দু’সপ্তাহ হলো নিজের জন্য একটা সোফা কিনেছি। স্বাস্থ্য বীমাও করিয়েছি। তাই বেশি ভেবে কাজ নেই। পরিস্থিতি বদলায়। বৃদ্ধি কখনও সরলরেখায় হয় না।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিলাসবহুল শহরের তালিকায় পঞ্চমে রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি। সেখানে মাঝারি মানের অ্যাপার্টমেন্টেরই ভাড়া পড়ে প্রায় ২ হাজার ৭০০ ডলার। আর এই অঙ্ক জোগাড় করাটাও অসম্ভব বলে জানিয়েছেন আলেকজান্দ্রিয়া।
Advertisement
এর মধ্যে আবার মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারে আলেকজান্দ্রিয়া ও তার প্রেমিক খরচ করে ফেলেছেন তিল তিল করে নিজেদের জমিয়ে রাখা প্রায় ২ লাখ ডলার। কানাকড়িও কর্পোরেট সাহায্য নেননি এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।
২০০৮-এ ক্যানসারে বাবাকে হারিয়েছেন আলেকজান্দ্রিয়া। তারপর থেকে শুধুই লড়াই। একের পর এক রেস্তরাঁয় কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি, রাজনীতিও।
লড়াই করে যাওয়া আলেকজান্দ্রিয়া বলছেন, কংগ্রেসের বেশির ভাগ সদস্যই তো সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছেন। তাদের পক্ষে শ্রমজীবীদের লড়াইটা বোঝা সম্ভব নয়। পাক্কা তিনটে বছর স্বাস্থ্যবীমা ছাড়া কাটানোটা যে কেমন উদ্বেগের, সেটাই বা তারা বুঝবেন কী করে?
এনএফ/এমএস
Advertisement