শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মুনাফাভিত্তিক অর্থনীতি নয়, আমাদের কল্যাণভিত্তিক অর্থনীতি গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, এখনকার যে অর্থনীতি এটাকে বদলে ফেলতে হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য এখন আমাদের সেই অর্থনীতি দরকার যা সবাইকে সুখে রাখবে।
Advertisement
জার্মানির ভল্ফসবুর্গে ভল্কসওয়াগনের হেডকোয়ার্টার অটোস্ট্যাডে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সোশ্যাল বিজনেস সম্মেলনের শেষদিন শুক্রবার তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে ৫৫টি দেশের ৮শ প্রতিনিধি অংশ নেন।
সম্মেলনে ইউনূস বলেন, বর্তমান পূঁজিবাদ অর্থনীতিতে প্রচুর অপচয় হয়। এই অপচয় রোধ করে আমাদের বৃত্তাকার অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের এমন কিছু করতে হবে যা মানুষের কাজে আসবে। এ জন্য প্রয়োজন সামাজিক ব্যবসা। আপনারা সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসুন।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিনে সামাজিক ব্যবসার এই প্রবক্তা আরও বলেন, ব্যবসা যেকোনো ধরনের সংকট নতুন সম্ভাবনা তৈরি করে আর সেই সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে আমাদের নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করতে হবে।
Advertisement
সম্মেলনে বিভিন্ন সেশনে পরিবেশের ওপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা, সম্পদের কেন্দ্রীকরণ ঠেকানো, কার্বণ নিঃসরণ কমানো, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থায় বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
সম্মেলনে প্রফেসর ইউনূস কতৃক প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক, গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউটর, গ্রামীণ শক্তি. গ্রামীণ টেলিকম, নবীণ উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীরা।
এতে বিষয় নিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী লামিয়া মোর্শেদ, জার্মানির গ্রামীণ ক্রিয়েটিভ ল্যাবের নির্বাহী প্রধান হ্যান্স রাইটজ, বোর্ড সদস্য মনিকা ইউনুস, ভল্কসওয়াগস এজির ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্য গুনার কিলিয়ান, অটোস্ট্যাডের প্রধান নির্বাহী রোলান্ড ক্লেমেন্ড, বিএমডব্লিউ এজির ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্য পেটার শোর্য়ার্চেনবাওয়ার, সোলার ইমপালস ফাইন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ড. বেরট্রান্ড পিকার্ডসহ অনেকে।
বিএ/এমএস
Advertisement