রাজধানীতে গ্যাসের সংকট এখনও পুরোপুরি কাটেনি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কোনো এলাকার লাইনে গ্যাস আছে আবার কোথাও নেই। যেসব এলাকার লাইনে গ্যাস আছে সেগুলোতে গ্যাসের চাপ অনেক কম। ফলে রান্নাবান্নায় সময় বেশি লাগছে। তবে গত দুই-তিনদিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার গ্যাসের সরবরাহ বেশি রয়েছে। শীতকাল জেঁকে বসার আগেই গ্যাসের সংকটে নগরবাসী আতঙ্কিত। লাইনে গ্যাসের চাপ কম থাকায় নগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের মাধ্যমে রান্নাবান্নার কাজ সারতে বাধ্য হচ্ছেন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আরমানুর রেজা ভুঁইয়ার দাবি গত শনিবার (৩ নভেম্বর) থেকে তিতাস গ্যাসের যে সংকট চলছিল তা এখন নেই। তিনি বলেন, রাজধানীতে তিতাস গ্যাসের চাহিদা মেটাতে ঘোড়াশাল সার কারখানায় গ্যাসচালিত বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে সরবরাহ প্রায় আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। জানা গেছে, রাজধানীতে তিতাস গ্যাসের মোট চাহিদা ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুট। কিছুদিন আগে পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ পাওয়া গেলেও বর্তমানে সরবরাহ রয়েছে দেড় হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
সূত্র জানায়, গত শনিবার চট্টগ্রামের মহেশখালীতে রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) প্ল্যান্ট যন্ত্রাংশে মারাত্মক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে গ্যাসের সরবরাহ কমে যায়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড পেট্রোবাংলার একটি প্রতিষ্ঠান। একইভাবে আরপিজিসিএলও একটি প্রতিষ্ঠান। আরপিজিসিএল থেকে গ্যাস রুপান্তর করে জাতীয় গ্রিডে পাঠানো হয়। আরপিজিসিএলে সমস্যার কারণে তিতাস গ্যাসের সরবরাহে ঘাটতি চলছে। রাজধানীর লালবাগের বাসিন্দা আশফাকুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন যাবত লাইনে গ্যাস না থাকায় দিনের বেলায় চুলা জ্বলছে না। রান্না করা গরম গরম খাবার খাওয়ায় অভ্যস্ত হলেও এখন রাতের রান্না করা খাবার তিনবেলা খেতে হয়।
Advertisement
কলাবাগানের গৃহবধূ আসমা খাতুন জানান, একই মহল্লার বাসাবাড়ির কোথাও গ্যাস থাকে কোথাও থাকে না। বিশেষ পদ্ধতিতে নাকি গ্যাস সংগ্রহ করা হয় বলে তিনি শুনেছেন। লাইনে গ্যাস না থাকায় সিলিন্ডার গ্যাস কিনে রান্না করছেন বলে জানান তিনি।
এমইউ/এসআর/পিআর