তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা কী তা পরীক্ষা করে আগামী রোববারের (১১ নভেম্বর) মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রংপুর কারা ও মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে (সিভিল সার্জন) এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
Advertisement
একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে রংপুর থেকে অন্য কোনো জেলায় স্থানান্তর করার সময় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে যথাযথ নিরাপত্তা দেয়ার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মইনুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা জাগো নিউজকে আদালতের এসব নির্দেশের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
আদালত আগামী রোববার (১১ নভেম্বর) এ রিট আবেদন দুটির ওপর শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন। ওই দিন এ বিষয়ে দ্বিতীয় দফা শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে করা পৃথক দুটি আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর (ডিপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল) প্রতি মৌখিক এ আদেশ দেন।
Advertisement
আদালতে আজ ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
বিশেষায়িত হাসপাতালে ব্যারিস্টার মইনুলের চিকিৎসা ও রংপুর আদালতে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা সরকারের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মইনুলের স্ত্রী সাজু হোসেন এ রিট দায়ের করেন।
রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের (মহাপরিদর্শক) আইজিপি, আইজি প্রিজন কারা কর্তৃপক্ষ ঢাকা, আইজি প্রিজন কারা কর্তৃপক্ষ রংপুর, সিভিল সার্জন ঢাকা, সিভিল সার্জন রংপুর, জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘মইনুল হোসেনের বয়স ৭৮ বছর। তিনি হার্টের রোগী। এর আগে তিনি ওপেন হার্ট সার্জারি করেছেন। এছাড়া মইনুল হোসেনের কিডনিসহ নানাবিধ সমস্যাও রয়েছে।’
Advertisement
তিনি আরও জানান, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের চিকিৎসা ও রংপুর আদালতে লাঞ্চিত করার ঘটনা সরকারের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে নিরাপত্তা ও চিকিৎসা চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত মৌখিক এ নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন। ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ বিষয়ে শুনানি করবেন।
এফএইচ/আরএস/পিআর