সিরাজগঞ্জে ট্রাকের কেবিন থেকে উদ্ধার হওয়া চালক ও হেলপার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় গ্রেফতার রফিকুল ইসলাম (২৭) নাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
Advertisement
বুধবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক রওশন আলী এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার রফিকুল ইসলাম (২৭) রংপুরের সিও বাজার কেল্লা বন্দর) এলাকার আনিছুর রহমানের ছেলে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক রওশন বলেন, ৪ নভেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে রফিকুলকে গ্রেফতারের পর তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রফিকুল বলেন,
Advertisement
‘ট্রাকে থাকা ৩৫১ বস্তা ভুট্টা আত্মসাৎ করার জন্যই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার সঙ্গে আরও দুজন জড়িত রয়েছেন। বগুড়া-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের কোনো এক স্থানে ট্রাকচালক আল আমিন (২৪) ও হেলপার সোহেলকে (২৫) গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ট্রাকের কেবিনের পেছনে রেখে দেয়া হয়। এ অবস্থায় তারা ১০০ বস্তা ভুট্টা বিক্রি করেছে। এরপর ভোর হয়ে যাওয়ায় হত্যাকারীরা বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সয়দাবাদ এলাকায় ট্রাকটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।’
গ্রেফতার রফিকুল বর্তমানে সিরাজগঞ্জ কারাগারে রয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম জানাতে রাজি হননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রওশান আলী।
প্রসঙ্গত, ২৯ সেপ্টম্বর বিকেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা থেকে ভুট্টাবোঝাই ট্রাক নিয়ে নরসিংদীতে রওনা হন চালক আল আমিন ও হেলপার সোহেল। ২ দিন পর ১ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের মুলিবাড়ি চেকপোস্ট এলাকা থেকে ২৫১ বস্তা ভুট্টাসহ ওই ট্রাকটি জব্দ এবং চালক ও হেলপারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এফএ/জেআইএম
Advertisement