ভারতের আসাম প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অাসামের (উলফা) কম্যান্ডার ইন চিফ পরেশ বরুয়া সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দাবাহিনীর একাংশও ওই দাবি করেছে।
Advertisement
তবে এক বিবৃতিতে উলফা বলছে, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও চিফ অফ স্টাফ মেজর জেনারেল পরেশ বরুয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এই খবর সঠিক নয়। আমাদের নেতা সুস্থ ও নিরাপদ আছেন।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নর্থইস্ট ট্যুডে বলছে, ১০-১২ দিন আগে মিয়ানমার-চীন সীমান্তে এক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন পরেশ। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি বেশ কিছু দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভারতীয় গোয়েন্দাদের একাংশ দাবি করে বলেছে, ৪৮ ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
উলফার অন্য একটি সূত্র বলছে, সম্প্রতি পরেশ বরুয়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ওই দুর্ঘটনায় তার কোমর ও পায়ে চোট লাগে। তিনি জখমও হন। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমার-চীন সীমান্তে রুইলি এলাকায় থাকেন পরেশ বরুয়া।
Advertisement
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, সম্প্রতি ওই নেতার ক্যাম্প থেকে আসা এক আত্মসমর্পণকারী উলফা ক্যাডারের কাছ থেকেও জানা যায়, ডায়াবেটিসের জন্য পরেশের শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ। ডায়াবেটিস থাকায় আহত পরেশের শারীরিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছিল।
এর আগেও বেশ কয়েকবার পরেশ বরুয়ার মৃত্যু ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সব খবর ভুল প্রমাণিত হয়। প্রতি বারই উলফা দাবি করে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল খবর রটানো হয়েছিল। চীন-মিয়ানমার সীমান্তে গাড়ি দুর্ঘটনায় পরেশ বরুয়ার এবারের মৃত্যুর খবরটিও ভুয়া বলে জানিয়েছে উলফার একটি সূত্র।
উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া বলেছেন, ‘পরেশ বরুয়া মারা গেছেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। একমাস আগেই আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। এখন সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন আমাকে।’
এসআইএস/জেআইএম
Advertisement