গণভবনে সংলাপ শেষ করে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা রাজধানীর বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন।
Advertisement
বুধবার বিকেল পৌনে ৩টায় এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, মোস্তফা মহসীন মন্টু প্রমুখ উপস্থিত আছেন।
সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা সংলাপে প্রস্তাব করেছে। যার মধ্যে রয়েছে-
১. নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া
Advertisement
সংসদ ভেঙে দেয়া-সংক্রান্ত পরিস্থিতিও বিধানগুলো সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ বিবৃত আছে। এছাড়া আমাদের এবং বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত সাংবিধানিক প্রথায়ও সংসদের মেয়াদপূর্তির পূর্বে সংসদ ভেঙে দেয়ার প্রচুর নজির রয়েছে। বাংলাদেশেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেয়াদপূর্তির পূর্বে সংসদ ভেঙে দেয়া হয়েছিল।
বিদ্যমান সাংবিধানিক বিধান ও প্রথার আলোকে এবং বিশেষত ১২৩(৩) (খ) এর আলোকে প্রধানমন্ত্রী নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রপতিকে বর্তমান সংসদ ভেঙে দেয়ার পরামর্শ প্রদান করতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেয়া সম্পূর্ণ সংবিধান সম্মত হবে।
অনুচ্ছেদ ১২৩(৩)(খ) অনুযায়ী উপরে উল্লেখিত পন্থায় সংসদ ভেঙে দেয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ১১ তম সংসদ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবে। সেক্ষেত্রে সংসদ ভেঙে দেয়ার তারিখ অনুযায়ী ১১ তম সংসদ নির্বাচন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে অথবা মার্চে অনুষ্ঠিত হতে পারে। বিভিন্ন দেশের সাংবিধানিক রীতি অনুসারে সংসদ ভেঙে দেয়া এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ৪৫ দিন ব্যবধান থাকা বাঞ্ছনীয়।
উপরে উল্লিখিত মতে সংসদ ভেঙে দিলে, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল ও প্রার্থীর জন্য 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' এর একটি বড় শর্ত পূরণ হবে।
Advertisement
২. নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন
বর্তমান নির্বাচন কমিশন গত প্রায় ২০ মাসে অনেক স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করলেও জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা, সামর্থ্য ও নিরপেক্ষতা সম্পর্কে সমাজের তাই বিভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান হিসেবে এর দায়-দায়িত্ব মূলত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের। প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান হিসেবে এর দায়-দায়িত্ব মূলত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের। তিনি নিজেই আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে তার সংসার ব্যক্ত করেছেন।
কেএইচ/জেএইচ/জেআইএম