তথ্যপ্রযুক্তি

‘ডিজিটাল নিনজা’ নিয়ে এলো গ্রামীণফোন

বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন কোডার ও ডেভেলপারদের জন্য ‘ডিজিটাল নিনজা’ নামক প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এই প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়।

Advertisement

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বিএসিসিও) প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ শরীফ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। এছাড়াও অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তথ্যপ্রযুক্তিখাত এবং কোডার কমিউনিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিজিটাল নিনজা উদ্যোগের লক্ষ্য গ্রামীণফোনের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ডিজিটাল দক্ষতার সন্নিবেশ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত করতে সহায়তা করা। অন্য কোথাও চাকরির আবেদনের জন্য পোর্টফোলিও শেয়ারিংয়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও ডিজিটাল নিনজা ব্যবহার করা যাবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিজিটাল নিনজা পিএইচপি, পাইথন, জাভা ও ডট নেট ডেভেলপার; ইউএক্স ও ইউআই ডিজাইনার; এমএল এক্সপার্ট, কিউএ ইঞ্জিনিয়ার; ফ্রন্ট-এন্ড ডেভলপার; অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, আইওএস অ্যাপ ডেেেলপার এবং ডেভঅপস বিশেষজ্ঞদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। হোয়াইট বোর্ডের ওয়েবসাইটের ((http://www.white-board.co/digital-ninja/2) মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা এ প্ল্যাটফর্মে আবেদন করতে পারবেন।

Advertisement

এক্ষেত্রে আবেদনকারীর দক্ষতা, প্রোফাইল ও অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে তিনটি বিভাগে স্কিলসেট শনাক্ত করা হবে। বিভাগগুলো হলো: ইয়েলো, গ্রিন ও ব্ল্যাক বেল্ট। একবার মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে আবেদনকারী ডিজিটাল নিনজা কমিউনিটির অংশ হিসবে বিবেচিত হবে।

নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ডিজিটাল নিনজা প্ল্যাটফর্ম ডেভেলপারদের দ্রুত নিযুক্ত করার মাধ্যমে ফাস্ট-ট্রাক ডেভেলপমেন্টের সুযোগ তৈরি করবে। এ ক্রাউডসোর্সিং প্ল্যাটফর্ম চুক্তির ভিত্তিতে দক্ষদের নিয়োগদানে অত্যন্ত কার্যকরী প্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করবে। এ প্ল্যাটফর্ম গ্রামীণফোনকে সুযোগ করে দিবে অনলাইনে তাদের প্রয়োজনীয় স্কিল এক্সপার্টদের নিয়োগ দিতে, যার মাধ্যমে ডিজিটাল এক্সপার্টরা আবেদন করতে সক্ষম হবে। একবার মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে দু’সপ্তাহের মধ্যে ডেভলপারদের নিয়োগ দেয়া হবে।

এ প্ল্যাটফর্মের কর্মপ্রক্রিয়া খুবই সহজ। এর পেছনে চিন্তা হলো মেধাবী ডেভেলপারদের একসঙ্গে নিয়ে আসা, দক্ষতা-ভিত্তিক ট্যালেন্ট হান্ট করা এবং যেকোনো ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ডিজিটাল নিনজাকে কাজে যুক্ত করা।

এ প্ল্যাটফর্মের সম্ভাবনা নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি বলেন, ‘এদেশের শিল্প, অর্থনীতির ডিজিটালাইজেশন এবং একটি প্রতিযোগিতামূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্র সহায়তা করতে এই প্রকল্প শত শত কাজের সুযোগ সৃষ্ট করবে বলে আমরা আশাবাদী।’

Advertisement

অনুষ্ঠানে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে নিরলস কাজ করে যাবার ব্যাপারে সরকারের লক্ষ্যের কথাও ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গ্রাহকদের জন্য প্রয়োজনীয় নানা সেবা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে গ্রামীণফোন সবসময়ই সমাজের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করেছে। সবার জন্য উন্নত, নিরাপদ ও সুবিধাজনক ডিজিটাল অভিজ্ঞতা তৈরিতে অভিনব ডিজিটাল সমাধান নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও গ্রামীণফোন সর্বদাই নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখে এসেছে।

এমএ/বিএ