১১০, ১২৩, ৪৩, ১৪৪, ১৪৯, ১৬৮, ১৪৩ ও ১৬৯- বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক সময়ের খবর না রাখা কেউ হয়তো ভেবে বসতে পারে যে উল্লিখিত সংখ্যাগুলো সম্ভবত স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের আট ইনিংসের রান। কিন্তু আসলে এই আটটি ভিন্ন সংখ্যা বাংলাদেশ দলের সবশেষ আটটি টেস্ট ইনিংসের দলীয় সংগ্রহ।
Advertisement
অবাক করার মতো হলেও এটাই সত্যি যে নিজেদের সবশেষ টেস্ট ইনিংসে একবারও দুইশ পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ। এই আট ইনিংসের সর্বোচ্চ ১৬৯ রানও এসেছে অষ্টম ইনিংসে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে। ব্যাটসম্যানদের এমন ভয়াবহ ভরাডুবিকে সহজে মানতে পারছেন না সাকিব আল হাসানের অবর্তমানে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তার মতে এমন হতশ্রী পারফরম্যান্স করতে থাকলে টেস্ট খেলার কোনো মানে নেই বাংলাদেশ দলের। অথচ ওয়ানডে ক্রিকেটে জিম্বাবুয়েকে তিন ম্যাচেই স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। কোনো ম্যাচে জিততেই তেমন বেগ পেতে হয়নি। এমনকি জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটি থেকে ওয়ানডে সিরিজ জয় এবং এশিয়া কাপেও ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ।
কিন্তু ফরম্যাট বদলে টেস্ট হতেই গলদঘর্ম অবস্থা টাইগারদের। যার প্রমাণ মেলে বাংলাদেশের সবশেষ টেস্ট ম্যাচগুলোর ফলাফলের দিকে তাকালেই। তবে কি ২০১৯ সালে আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ওয়ানডে ক্রিকেটেই বেশি মনোযোগ দিয়ে ফেলছে বাংলাদেশ? যে কারণে টেস্টে আসছে না আশানুরূপ ফলাফল।
Advertisement
এমনটা মানতে নারাজ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা টেস্ট ক্রিকেট সম্পর্কেও সমান সচেতন। হয়তো পাঁচ-ছয়টা (আট ইনিংস) ইনিংসে হয়তো রান করতে পারিনি আমরা। তবে বোলাররা যথেষ্ট ভাল বোলিং করেছে। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে ফেলছে। ব্যাটসম্যানরা ভাল করছে না।’
টেস্ট ক্রিকেটে এমন টানা ব্যর্থতা বাংলাদেশ দলের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাওয়া সাফলের উপরেও কালো দাগ দিতে পারে বলে মনে করেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্ট ক্রিকেটে এরুপ অবস্থা দলের জন্য ভীষণ বিপজ্জনক বলে মনে করেন তিনি।
‘ওয়ানডে ফরম্যাটে সবাই ভাল ছন্দে আছে। কিন্তু ওই ডিসিপ্লিনটা হয়তো আমরা টেস্ট ক্রিকেটে নিতে পারছি না। অবশ্যই এটা চিন্তার বিষয়। আমাদের এটা খুব ভালোভাবে চিন্তা করতে হবে। কারণ এভাবে ব্যাট করতে থাকলে মনে হয় না আমরা টেস্ট ক্রিকেটে কোন অবস্থানে থাকব। এটা আমাদের ইমেজের ইস্যু। আমাদের অবশ্যই শক্তভাবে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। না হয় এভাবে টেস্ট খেলার কোনো মানে নেই।’
এসএএস/পিআর
Advertisement