আশপাশের কয়েকজন বিক্রেতার কাছ থেকে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লিটার দুধ কিনতেন আব্দুল করিম (২০)। পরে চিনি, খাবার সোডা, গ্লুকোজ ও সয়াবিন ব্লেন্ডারের মাধ্যমে মিশিয়ে উৎপাদন করতেন ১৫ থেকে ২০ মণ নকল দুধ। এসব নকল দুধে যাতে পচন না ধরে তার জন্য নিয়মিত সোডিয়াম বেনজয়েড নামে কেমিক্যাল মেশানো হতো।
Advertisement
এখানেই শেষ নয় আব্দুল করিম এসব নকল দুধ বগুড়া শহরে সরবরাহ করতেন। শহর থেকে বেশ কয়েকজন বিক্রেতার মাধ্যমে তিনি এসব নকল দুধ বিক্রি করে আসছিলেন। আর এসবের মাধ্যমেই এক বছরের ব্যবধানে লাখপতি বনে যান তিনি।
কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় সেই নকল দুধ তৈরির কারখানার খোঁজ পেয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে অভিযান চালিয়ে ২০০ লিটার নকল দুধ ও দুধ তৈরির উপাদান জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কারখানা মালিককে ২০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহারহাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বগুড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগতবন্ধু মণ্ডল।
Advertisement
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার বিহারহাট এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুল করিম (২০) হাটের উত্তর পাশে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নকল দুধ উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় তার নকল দুধের কারখানা থেকে ২০০ লিটার নকল দুধ, তিন কেজি সয়াবিন, আড়াই কেজি চিনি, গ্লুকোজ তিন কেজি, খাবার সোডা দুই কেজি, আড়াইশ গ্রাম সোডিয়াম বেনজয়েড নামের কেমিক্যাল ও দুটি ব্লেন্ডার মেশিন জব্দ করা হয়।
এফএ/এমএস
Advertisement