সম্প্রতি শেষ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Advertisement
আটক আনোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বিন্দাপাড়ার সোলতান আহমেদের ছেলে।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোরশেদ রিপন।
তিনি বলেন, চবির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে গত ২৮ অক্টোবর জামশেদুল কবির নামে বাংলা বিভাগের সাবেক এক ছাত্র আটক হন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আনোয়ারকে আটক করা হয়। পরে তাকে হাটহাজারী মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।
Advertisement
আনোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতি এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত আনোয়ার। এভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকার পাহাড় বানিয়েছেন আনোয়ার।
নগরীর চকবাজারে কুতুবদিয়া কম্পিউটার ও সোনার তরী ট্যুরিজম নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক এই আনোয়ার। এই প্রতিষ্ঠান দুটির অন্তরালে আনোয়ার পরীক্ষা জালিয়াতি কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।
পাশাপাশি ১৫ লাখ টাকা দিয়ে নিজের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েতে একটা চাকরি ঠিক করে রেখেছে। তার এসব জালিয়াতির সঙ্গে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক জড়িত।
তার ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানতে চাইলে প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেব। প্রক্সির ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
Advertisement
গত ২৮ অক্টোবর রোববার বিকেলের শিফটে সম্মিলিত ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালীন ড. ইউনূস ভবনের ১০৯ নং কক্ষ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামশেদকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক এই শিক্ষার্থী তৌহিদুল হাসান পিয়ালের (ভর্তি পরীক্ষার রোল-৫২২৭৮৯) অ্যাডমিট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে পরীক্ষা দিতে আসেন। তখন তাকে আটক করা হয়।
আবদুল্লাহ রাকীব/এএম/পিআর