ইরানের অর্থনীতির প্রধান খাতগুলোকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা মানা হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে করা বিশ্বের ক্ষমতাধর ছয়টি দেশের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে। যুক্তরাষ্ট্রকে চুক্তি থেকে সরিয়ে নেয়ার পর ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। আজ (সোমবার) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে ইরানে মার্কিনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেছে দেশটির জনগণ।
মূলত ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে লক্ষ্য করে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এতে করে দেশটির অর্থনীতির প্রধান খাত তেল রফতানি, জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও ব্যাংক ব্যবস্থাসহ অন্যান্য খাতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কিন্তু ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি অন্য সুরে কথা বলছেন। তিনি বলেছেন, ‘যতই নিষেধাজ্ঞা থাক না কেন ইরান তেল রফতানি করবে। আমরা খুব গর্বের সাথে তাদের নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ফেলবো।’ এছাড়া নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান।
Advertisement
২০১৫ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্ষমতায় থাকার সময় বিশ্বের ক্ষমতাধর ছয়টি দেশের সঙ্গে ইরানের ওই চুক্তিটি সম্পাদিত হয়। চুক্তির শর্ত মতে, তেহরানের ওপর চাপানো সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল।
তবে চলতি বছরের মে মাসে ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আটটি দেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশ ইরান থেকে তেল আমদানি করতে পারবে না। আমদানি করলে ওই দেশগুলোকেও শাস্তি ভোগ করতে হবে।
যদিও ২০১৫ সালের ওই পারমাণবিক চুক্তি থেকে এখনও বের হয়ে যায়নি যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়া। তারা চুক্তিটি টিকিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। সবার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প তার সিদ্ধান্তে অনড়।
তবে ইরানের মিত্র হিসেবে পরিচিত রাশিয়া তেহরানের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। রোববার দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইরান থেকে তেল আমদানি করবে মস্কো। জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া একতরফা কোনো নিষেধাজ্ঞাকে আমরা স্বীকৃতি দেই না। আমরা মনে করি এসব পদক্ষেপ অবৈধ।’
Advertisement
এসএ/পিআর