ইরানের ওপর সবচেয়ে কঠিন নিষেধাজ্ঞা আনছে যুক্তরাষ্ট্র। তেল সমৃদ্ধ দেশটির ওপর এর আগেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার থেকেই দেশটির ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ হতে যাচ্ছে।
Advertisement
ইরানের সাথে ২০১৫ সালে করা বহুপাক্ষিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে নতুন করে দেশটির ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা আনা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশটির সঙ্গে যারা বাণিজ্য করবে তাদেরও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে।
২০১৫ সালের ওই চুক্তির ফলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর সরাসরি নজরদারি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল যার ফলে বিশাল পরিসরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়ায় দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এক তরফাভাবে পুনরায় বহাল হচ্ছে।
নতুন এই ঘোষণা অন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর ইরান থেকে বিনিয়োগ তুলে নেয়ার ঘটনা বাড়িয়ে দিতে যথেষ্ট এবং ইতোমধ্যে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি কমে গেছে। সোমবার থেকেই দেশটির ওপর নতুন করে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে যুক্তরাষ্ট্র।
Advertisement
এই নিষেধাজ্ঞা ইরানের তেল রফতানি, জাহাজ এবং ব্যাংকসহ দেশের অর্থনীতির মূল অংশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। রোববার হাজার হাজার ইরানিকে ‘ডেথ অব আমেরিকা’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা প্রত্যাহারের দাবিতে তারা রাস্তায় নামেন।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের এক ক্যাম্পেইনে যোগ দেয়ার আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসনের নীতির অধীনে ইতোমধ্যেই লড়াই করে যাচ্ছে ইরান। দেশটির ওপর আনা নিষেধাজ্ঞা আরো কঠিন হচ্ছে। আমরা তাদের ওপর এ পর্যন্ত যতবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী এবং আমরা দেখতে চাই ইরানের সঙ্গে কি হয়। আমি আপনাদের বলতে পারি তারা ভালো কিছু করতে পারছে না।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement