সংলাপ ফলপ্রসূ না হলেও সুনির্দিষ্ট সময়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
Advertisement
তিনি বলেন, সংলাপে আলোচনা হবে সব বিষয়ে, তবে সংবিধানের আলোকে সিদ্ধান্ত হবে। আজকে সন্ধ্যায় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা উচিত নয়।
আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে ভারতের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। ভারতীয় প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন দেশটির ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সচিব শ্রী রাভিকান্ত। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাসহ ১০ জন ছিলেন প্রতিনিধি দলে।
সংলাপটা যদি কোনো কারণে ভেস্তে যায় তাহলে ভবিষ্যৎ পরিণতি কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য সুনির্দিষ্ট। লক্ষ্য ঠিক আছে, উভয়েরই লক্ষ্য এক। একটা অবাধ, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এই কাজটি সবসময় করে নির্বাচন কমিশন। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করে। লক্ষ্য নির্ধারিত। সুতরাং আলোচনা যাই হোক সকলেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। এই সরকারের অধীনে এবং এই নির্বাচন কমিশনের তত্বাবাধনে। এখানে সমস্যার কিছু দেখি না।’
Advertisement
‘আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী সব দলের সঙ্গেই সংলাপ করতে চেয়েছেন। আজকে ঐক্যফ্রন্ট, কালকে যুক্তফ্রন্ট, ৫ নভেম্বর জাতীয় পার্টির সঙ্গে। এ ছাড়া বাম দলকেও চিঠি দেয়া হয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ড. কামাল আলোচনার জন্য যে চিঠি দিয়েছিলেন তাতে উল্লেখ করেছিলেন, তাদের ৭ দফা ও ১১ লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা আবার সম্মতি জানিয়ে বলেছি সংবিধানের আওতায় থেকে আলোচনা করবো। সুতরাং সব বিষয়েই আলোচনা হবে। কিন্তু সংবিধান অনুসারে সিদ্ধান্ত হবে। তারা সব বিষয়েই আলোচনা হবে। যেহেতু আজকে আলোচনা হবে তাই এর চেয়ে বেশি কিছু বলা উচিত হবে না।’
খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের রায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো আদালতের ব্যাপার। এগুলো নিয়ে আলোচনা করা উচিত নয়। এগুলো আদালতে এখতিয়ার।’
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, সংলাপ না করলেও বলে সংলাপ করে না। আবার করলে বলে সময়ক্ষেপণ, তাহলে সরকার কোন দিকে যাবে।
Advertisement
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি রাজবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন, আমরা ১৯৭৫-এর পরে জেলে ছিলাম। আমাদেরকে বলা হতো রাজবন্দি। কারণ, আমাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানসহ সবার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রায় হয়েছে। সুতরাং এরা রাজবন্দি নয়। অন্য কেউ যদি কারাগারে বন্দী থাকে তাদের নামেও মামলা রয়েছে। যাদের নামে মামলা থাকে তারা রাজবন্দি নয়। সুতরাং রাজবন্দি নেই, থাকলে না মুক্তি দেবে!’
উল্লেখ্য, সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেয়া ড. কামালের চিঠির জবাবে ক্ষমতাসীনদের তরফ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সন্ধ্যায় মুখোমুখি বসছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিরোধী রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে নেতৃত্ব দেবেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান নির্বাচন কমিশন অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত। আমাদের সবারই লক্ষ্য অবাধ নির্বাচন।
এমইউএইচ/এনএফ/আরআইপি/জেআইএম