২০১৫ সালে শরণার্থীদের লাথি মেরে ফেলে দিয়েছিলেন হাঙ্গেরির এক নারী ফটোসাংবাদিক। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এই অপরাধের কারণে চাকরি হারান এবং তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু হাঙ্গেরির সুপ্রিম কোর্ট এখন ওই নারীকে মুক্তি দিয়েছে।
Advertisement
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে এক শরণার্থীকে লাথি মারেন পেত্রা লাজলো নামের ওই সাংবাদিক। এতে সন্তানসহ মাটিতে পড়ে যান ওই শরণার্থী। এরপরেই আরও এক শিশু দৌঁড়ে যাওয়ার সময় লাথি মারেন পেত্রা।
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় কিন্তু মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তাকে নির্দোষ ঘোষণা করে তার শাস্তি মওকুফ করেছে।
২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সার্বিয়া ও হাঙ্গেরি সীমান্তের রোজস্ক শহরের কাছে আসা শরণার্থীদের লাথি মেরে ফেলে দেন পেত্রা। সে সময় তিনি ওই এলাকায় ফটোসাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
Advertisement
সে সময় প্রায় চারশ শরণার্থী সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেন। একটি ভিডিওতে দেখা যায় যে, সাংবাদিক পেত্রা লাজলো ক্যামেরা হাতে সীমান্তরক্ষীদের বাধা ডিঙিয়ে একাধিক শরণার্থীকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিচ্ছেন। আরটিএল টেলিভিশনের রিপোর্টার স্টিফেন রিখটার ওই ভিডিওটি শেয়ার করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এটি প্রায় আড়াই হাজার বার রিটুইট হয়েছে।
এর কিছুদিন পরেই লাজলো এন১টিভি স্টেশনের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি পাঠান। তিনি বলেন যে, সে সময় তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন যে, তার ওপর হয়তো আক্রমণ হতে পারে। ওই চিঠিতে তিনি বলেন, ওই ভিডিও দেখে মনে হচ্ছিল এটা আমি না।
টিটিএন/আরআইপি
Advertisement