রাজনীতি

‘সংসদ ভাঙা’ হোক সংলাপের প্রধান এজেন্ডা

১ নভেম্বর সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তবে, তিনি সংলাপের প্রধান এজেন্ডা হিসেবে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের কাছে। বামপন্থী এই নেতা বলেন, রাজনীতির নামে রাষ্ট্র, সমাজে যে দুঃশাসন চলছে, তা থেকে মুক্তি পেতে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। সংলাপ সময়ের দাবি। আমরা দীর্ঘদিন থেকেই সংলাপের দাবি জানিয়ে আসছি। মানুষের মুক্তির জন্য জাতীয় ঐক্যের কথা আমরাও বলে আসছি। সরকার কর্ণপাত করেনি। ১ নভেম্বর কি আলোচনা হয়, তা দেখার অপক্ষা।

বাম গণতান্ত্রিকফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংলাপের আহ্বান জানানো হবে কি-না। জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা গণমানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছি। আমরা সরকারের লাঠিপেটার শিকার হচ্ছি বার বার। আমরা কী চাই সরকার জানে। আনুষ্ঠানিকভাবে বলার কিছু নেই। সংলাপের উদ্যোগ নিতে হয় সরকারকে। বাস্তবায়নেও ভূমিকা থাকে সরকারের। সরকার এখনও আমাদেরকে সংলাপের ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব দেয়নি।

আসন্ন সংলাপের ফলাফল প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, রুটি ভাগাভাগির জন্যও সংলাপ হতে পারে। আমরা ইতিপূর্বে বহু সংলাপ, আলোচনা দেখেছি। তাতে গণমানুষের লাভ হয়নি। বরং বৈষম্য বেড়েছে। সংলাপের স্বার্থকতা নির্ভর করে মূলত ক্ষমতাসীনদের আন্তরিকতার ওপর। সরকার চাইলে একদিনের মধ্যেই চলমান সংকট নিরসন করতে পারে।

Advertisement

সংসদ ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন এ দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। সংবিধান সংশোধনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে অধিবেশন আহ্বান করতে হবে। আমরা কোনো অসাংবিধানিক দাবি করছি না। সংবিধান সংশোধনের কথা সংবিধানের মধ্যেই সংরক্ষণ করা আছে। জরুরিভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হোক। আর সংলাপের প্রধান এজেন্ডা হওয়া উচিত এই দাবিই।

আগামী ১ নভেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে, রোববার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে সাত দফা দাবি এবং ১১টি লক্ষ্য সংবলিত চিঠি দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার সকালে সে চিঠির জবাব আসে ড. কামালের বাসায়।

এএসএস/এমআরএম/এমএস

Advertisement