রাজনীতি

সংলাপের জন্য ‘বিশেষ বার্তা’ দেবেন খালেদা জিয়া!

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংলাপের জন্য ১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ড. কামাল হোসেনের লেখা চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এই সংলাপের দ্বার খুলেছে।

Advertisement

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসার আগে খালেদা জিয়ার কাছ থেকে বিশেষ বার্তা পেতে যাচ্ছেন দলটির নেতারা।

বিএসএমএমইউ ও বিএনপি সূত্রে আরও জানা যায়, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি প্রধান। মঙ্গলবার বিকেল বা সন্ধ্যায় তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেয়ার পাশাপাশি সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাকে জানাবেন। এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার মতামত বা পরামর্শও চাইবেন। তাদের মাধ্যমে বিএনপি নেতাদের কাছে বিশেষ বার্তা পৌঁছে যাবে।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সাজার মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে।

Advertisement

এ অবস্থায় বিএনপি সংলাপে যাবে কি না- তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ রায় ঘোষণার পর বলেছেন, ‘সংলাপে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’

এদিকে, সংলাপে ১৫ জনের একটি প্রতিনিধি থাকতে পারে বলে ঐক্যফ্রন্টের একটি সূত্র জানিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে প্রতিনিধি দলের তালিকা ঠিক করতে বৈঠকে বসেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সংলাপের বিষয় নিয়ে আজ বৈঠকে বসছি। সংলাপ অর্থবহ করা যায় কীভাবে, তা নিয়েই প্রাথমিক আলোচনা হবে। প্রতিনিধি দলের তালিকাও ঠিক হবে। তবে তালিকা যে কোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে।’

Advertisement

এমইউ/জেডএ/এমএআর/এমএস