ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে রোববার সকাল থেকে অবস্থান নেন পরিবহন শ্রমিকরা। লাঠি হাতে চালাতে থাকেন পিকেটিং। পিকেটিং চলাকালে তারা কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে দেননি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসানের গাড়িও আটকে দেন পরিবহন শ্রমিকরা। প্রায় আধা ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) মোল্লা তাসলিম হোসেন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে গাড়িটি উদ্ধারে সক্ষম হন।
Advertisement
জানা গেছে, পিকেটিংয়ের সময় অ্যাম্বুলেন্সও চেক করে রোগীর স্বজনবাহী অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেন তারা। সকাল থেকেই পরিবহন শ্রমিকরা এ মহাসড়কে কোনো প্রকার বাস, মিনিবাস, এমনকি মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যানও চলাচল করতে দেয়নি।
এ মহাসড়ক দিয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস গন্তব্যে যেতে চাইলে পরিবহন শ্রমিকরা সেসকল পরিবহনে কালো রং লাগিয়ে দেন। এমনকি অনেক চালকের শরীরেও পরিবহন শ্রমিকরা কালো রং লাগিয়ে দেন। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন প্রাইভেট পরিবহনগুলোর মালিক ও চালকরা।
পরিবহন শ্রমিকদের পিকেটিংয়ের সময় এ মহাসড়কে কর্তব্যরত পুলিশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
Advertisement
হোসেন চিশতী শিপলু/এফএ/পিআর