রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে তিন দিনব্যাপী বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৮। মেলায় প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। এ নিয়ে ষষ্ঠ বারের মতো এই আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ মেলার উদ্বোধন করেন, চলবে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি ১৪৯টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করায় মেলায় নতুন নতুন পণ্যের সমাহার ঘটেছে।
এছাড়া মেলায় প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদনের নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এক দেশের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য দেশের প্রতিষ্ঠান পরিচিত হতে পারছেন।
বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) ও এক্সট্রিম এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট সলিউশনের উদ্যোগে এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলার অনলাইন নিউজ পার্টনার জাগো নিউজ ২৪ ডটকম।
Advertisement
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় সকাল থেকেই মেলায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছেন, পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারছেন। বিভিন্ন সেবা এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
এছাড়া এবারের মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন স্টলের পাশাপাশি জব ফেয়ারেরও আয়োজন করা হয়েছে। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা এসে ভিড় জমাচ্ছেন এখানে।
ড্যাফডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেলায় এসেছেন একদল শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একজন রাশেদুল ইসলাম, পড়ালেখা মাত্র শেষ করে ইন্টার্নি করছেন।
তিনি বলেন, ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো হচ্ছে জেনে এখানে এসেছি। মেলায় অনেক কিছু শেখার-জানার আছে। দেশি বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখানে তাদের সেবা প্রদর্শন করছে। এখানে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের নতুন নতুন প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জনের সুযোগ রয়েছে। আমরা বন্ধুরা মিলে ইউনিভার্সিটি থেকে এসেছি দেশি-বিদেশি স্টলের পাশাপাশি জব ফেয়ারও ঘুরে দেখতে। বৃহস্পতিবারও এসেছিলাম। তবে, আজ (শুক্রবার) ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই দর্শনার্থীদেরদের ভিড় বেশি।
Advertisement
মেলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, জন্মলগ্ন থেকেই ফুড প্রসেসিং সেক্টরের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে বাপা। তাদের মূল লক্ষ্য ফুড প্রসেসিং সেক্টরের ক্রমবর্ধমান বিকাশ নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ সেক্টরকে এগিয়ে নেয়া। একই সঙ্গে এ সেক্টরের সার্বিক সমন্বয় নিশ্চিতের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও বেগবান করা।
এএস/জেইউ/এমএমজেড/এমএস