সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যাকে কেন্দ্র করেই তামাম পৃথিবীর সৃষ্টি। তার প্রশংসাই হচ্ছে দরূদ। এই দরূদ পাঠ মানুষের ঈমানি শক্তিকে বৃদ্ধি করে। আল্লাহ তাআলা মানুষের কল্যাণের জন্যই দরূদ পাঠকেও নাজাতের মাধ্যম বানিয়েছেন। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য সবচেয়ে ছোট এবং সর্বোত্তম দরূদ তুলে ধরা হলো :দরূদ শরীফের মধ্যে সর্বোত্তম দরূদ হলো- দরূদে ইবরাহিম। যা নামাজের শেষ বৈঠকে পড়া হয়। আর সবচেয়ে ছোট দরূদ হচ্ছে এটি :সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।’ যা পাঠের মাধ্যমে সালাত ও সালাম পাঠের হুকুম আদায় হয়ে যায়। সালাত ও সালাম এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মর্যাদায় অসংখ্য আয়াত নাযিল হয়েছে। যার কয়েকটি :রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মান জানানোর সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে এই দরূদ পাঠ করা। তাঁকে সম্মান জানানোর কথা কুরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন- ‘আমি তোমাকে (নবী) প্রেরণ করেছি সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। যাতে তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান আন এবং তোমরা রাসূলকে শক্তি যোগাও তাকে সম্মান করো।’ ( সূরা ফাতাহ : আয়াত ৮ ও ৯)।আল্লাহ রাসূলের মর্যাদায় বলেন, ‘আল্লাহর নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তার ফেরেশতারাও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করো ও তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ (সূরা আহজাব : আয়াত ৫৬)দরূদ পাঠের ফজিলত :হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি হাশরের ময়দানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে থাকতে চান, সে যেন বেশি বেশি দরূদ পাঠ করেন।যে ব্যক্তি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করবে, তাঁর জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুপারিশ আবশ্যক হয়ে যায়।বেশি বেশি দরূদ পাঠের বরকতে স্বপ্নযোগে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জিয়ারত নসিব হয়ে যায়।দরূদ পাঠের বরকতের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলােইহি ওয়া সাল্লামের সাক্ষাৎ লাভ করতে পারলে ঐ ব্যক্তির জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায়।দরূপ পাঠের ফলে বান্দার সব বৈধ চাওয়া পাওয়া আল্লাহ কবুল করেন।দরূদ পাঠের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতেই আল্লাহ তাআলা কুরআনে আয়াত নাজিল করেছেন : `নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ্) স্বয়ং এবং আমার ফেরেস্তাগণ নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরুদ পাঠ পূর্বক সালাম প্রেরণ করিয়া থাকি; হে মুমিনগণ তোমরাও তাঁহার উপর দরুদ পাঠ কর এবং সালাম প্রেরণ কর।` (সূরা আহযাব : আয়াত ৫৬)।তাই যখনই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামের নাম আলোচনায় আসে, তখন পড়ার জন্য দরূদ শরীফের সহজ ও সংক্ষিপ্ত বাক্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ অর্থৎ আল্লাহ তা’লা তার উপর সালাম পাঠান। এতে দরূদও আদায় হয়ে গেল, সালামও হয়ে গেল। আল্লাহর অসীম অনুগ্রহ যে তিনি এ সংক্ষিপ্ত দরূদ পাঠের দ্বারা পাঠকারীকে দরূদ শরীফের ফজিলত, রহমত ও বরকত দান করবেন।আল্লাহ আমাদেরকে নামাজের দরূদে ইবরাহিম ছাড়াও নিয়মিত দরূদ পাঠ করে উপরোক্ত ফজিলত লাভ ও স্বপ্নযোগে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জিয়ারত লাভের তাওফিক দান করুন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের ওপর অটল ও অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।জাগো নিউজ২৪ ডট কমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামী আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।এমএমএস/এআরএস/এমএস
Advertisement