জমি দখলের চেষ্টা, ভাঙচুর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে আশুলিয়া থানায় দায়ের করা মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে গেছেন।
Advertisement
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করবেন।
গত ১৫ অক্টোবর রাতে আশুলিয়া থানায় জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের মোহাম্মদ আলী ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আনিছুর রহমান। মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন-গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দেলোয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির (৫৫) ও নূর মোহাম্মদের ছেলে আওলাদ হোসেন (৪৮)।
Advertisement
মামলার এজহারে বলা হয়, আশুলিয়ার পাথালিয়া মৌজায় ৪.২৪ একর জমির মালিক মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান ও তাজুল ইসলাম। আসামিরা দীর্ঘদিন এ জমি দখলের চেষ্টা করছে। ১৪ অক্টোবর আসামিরা ওই জমিতে হাজির হয়ে বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে এ জমি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে হস্তান্তর করতে হবে অথবা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে এক কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে। বাদীরা এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা ভাঙচুর করেন।
এরপর ১৯ অক্টোবর চাঁদা দাবি, ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ এনে আশুলিয়া থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয় জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে। আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার হাসান ঈমাম বাদী হয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার মালিকানাধীন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশের একটি জমি দীর্ঘ দিন ধরে জবরদখলের চেষ্টার পাশাপাশি জমির মালিকের কাছে কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আরও তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
Advertisement
এফএইচ/এনএফ/আরআইপি