ইউরোপের প্রায় অর্ধেক নারী রাজনীতিবিদ ও পার্লামেন্টের নারী সদস্য সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এমনকি এসব ঘটনায় নারীরা নির্দ্বিধায় কথা বলবে তেমন ব্যবস্থাও নেই ইউরোপের অধিকাংশ পার্লামেন্টে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি এবং স্বতন্ত্র সদস্যদের সংগঠন ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
Advertisement
গত মঙ্গলবার প্রকাশ হওয়া এ গবেষণায় বলা হয়েছে, নারী রাজনীতিবিদ ও পার্লামেন্টের নারী সদস্যরা হত্যা, নির্যাতন, এমনকি ধর্ষণের হুমকিও পেয়ে থাকেন। এছাড়া অনেকে সন্তান অপহরণ ও হত্যার হুমকিও পেয়েছেন।
গবেষণায় অংশ নেয়া ৮৫ শতাংশ নারী জানান, তারা মানসিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন। মোট ৬৮ শতাংশ বলছেন, নারী হওয়ার কারণে তাদের বিভিন্ন আক্রমণাত্মক কথা শুনতে হয়েছে। ২৫ শতাংশ নারী সরাসরি যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন সহিংসতার শিকার সবচেয়ে বেশি হয়েছেন ৪০ বা তার চেয়ে কম বয়সি নারীরা। এসব হয়রানির ৭০ ভাগই সংগঠিত হয়েছে পুরুষ রাজনীতিবিদদের দ্বারা।
Advertisement
ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট গাব্রিয়েলা কুয়েভাস জানিয়েছেন, ‘গবেষণার এ ফল বলছে, পার্লামেন্টে নারীর প্রতি সহিংসতা আমরা যেমন ভাবতাম -এটা তার চেয়েও বেশি খারাপ। এ তথ্য একজন নারী এমপি হিসেবে আমার জন্যও উদ্বেগের। হয়রানি শুধু নারী অধিকারের চরম লঙ্ঘনই নয়, গণতন্ত্রের জন্যও ক্ষতিকর।’
ইউরোপের ৪৫টি দেশের পার্লামেন্ট থেকে মোট ১২৩ জন (৮১ জন এমপি ও ৪২ জন কর্মী) এ গবেষণায় অংশ নেন।
বিচারহীনতা
ইউরোপের বেশিরভাগ পার্লামেন্টে এ ধরনের হয়রানির ঘটনায় নারীদের সাহায্য চাওয়া বা বিচার চাওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ নেই। ফলে হয়রানি করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন পুরুষ এমপিরা।
Advertisement
আরএস/আরআইপি